কলকাতা: বিজেপির কেন্দ্রীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুপম হাজরাকে। ২০২০ সাল থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে ছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরে গাইছিলেন অনুপম। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছিলেন। এরপর, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থাও নিয়েছিল বিজেপি। দলের অধিকাংশ কর্মসূচি থেকেই তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপরও দমানো যায়নি অনুপমকে। এরপরই এদিন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।
BJP president @JPNadda removes West Bengal leader Anupam Hazra as party’s national secretary. pic.twitter.com/9K2b2LrQOJ
— Press Trust of India (@PTI_News) December 26, 2023
এদিন বিজেপির মহাসচিব অরুণ সিং এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার নির্দেশেই সরানো হয়েছে অনুপম হাজরাকে। অবিলম্বে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। কলকাতায় থাকাকালীনই তিনি এই নির্দেশ জারি করেছেন। অথচ, অনুপম হাজরার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নাড্ডা-অমিত শাহর সফরের ছবি রয়েছে। নাড্ডা, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীদের করা প্রায় সকল টুইটই, রিটুইট করে থাকেন তিনি।
তবে, রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সত বিজেপি কর্মীদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি, সদ্য ব্রিগেড ময়দানে যে লক্ষ্য কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি, সেই অনুষ্ঠানেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের কার্ড বিলির নামে, নলহাটির বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ করেছিলেন জনৈক অনিল সাহা। সেই পোস্টটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভাগ করে নিয়ে অনুপম হাজরা লিখেছিলেন, “এটা যদি সত্যি হয় তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার! শেষ পর্যন্ত ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’- এখান থেকেও দুর্নীতি, টাকা উপার্জন! হায়রে – এরা আদৌ হিন্দু? অবশ্য সংগঠনের কাছের লোক হলে শত চুরি এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও কোনও পরিবর্তন হবে না, উল্টে মেয়াদকাল আরও বাড়তে পারে! আর কতদিন যে ‘চোর মুক্ত বিজেপি চাই’ বলে গলা ফাটাতে হবে কে জানে!?”