
কলকাতা: সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ বড়সড় ধাক্কা আসে ঘাসফুল শিবিরে। ‘সর্বভারতীয়’ জাতীয় দলের (National Party) তকমা হারায় তৃণমূল। মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের রাজ্য দলের তকমাও হারায় ঘাসফুল শিবির। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় এই কথা। আর তারপরই খোঁচা দিতে শুরু করে বিজেপি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পর আসরে এবার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দিলীপের পরামর্শ, এবার সর্বভারতীয় পার্টি হওয়ার স্বপ্ন,প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন,দিল্লি জেতার স্বপ্ন,আপাতত মুলতুবি রাখতে হবে।
নিত্যদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। একাধিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা চলে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন। বিজেপি নেতা বলেন, “কোনও-কোনও রাজ্যে তৃণমূল একবার-দুবার ভোট পেয়েছিল। ওরা ভেবেছিল আর পাঁচটা পার্টির মতো হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যে ধরনের দুর্নীতি হিংসা,মারামারি করছে এর থেকে গোটা ভারতের লোক তৃণমূলের আসল রূপ জেনে গিয়েছে। কোথাও ভোট দিচ্ছে না। গোয়া এবং ত্রিপুরা,মণিপুর ও অসমে প্রচুর টাকা খরচা করেছেন নির্বাচনের জন্য। কিন্তু কোথাও ভোট পাননি। স্বাভাবিকভাবে ভোটের পার্সসেন্টটেজ কমে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তকমা চলে গেল।”
দিলীপ ঘোষ বলছেন যে এখন পশ্চিমবঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, “এবার সর্বভারতীয় পার্টি হওয়ার স্বপ্ন,প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন,দিল্লি জেতার স্বপ্ন,আপাতত মুলতুবি রাখতে হবে।”
বস্তুত, নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে চার বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্যের দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে। অথবা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ২ শতাংশ আসন পেতে হয়।