Dilip Ghosh on Jodhpur Park issue: ‘আগে মস্তানরা তোলাবাজি করত, এখন নেতারা করেন’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 18, 2022 | 4:01 PM

Kolkata: বুধবার রাতে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। এদিকে থানা থেকে বেরোতেই ওই তরুণীকে ফের ওই যুবকেরা ঘিরে ধরে। এরপর লেক থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুদের উদ্ধার করে।

Dilip Ghosh on Jodhpur Park issue: আগে মস্তানরা তোলাবাজি করত, এখন নেতারা করেন
দিলীপের মন্তব্য, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: কফিশপের সামনে দাঁড়িয়ে আঙুল উঁচিয়ে দোকানের মালকিনকে শাসাচ্ছেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে একাধিক সঙ্গীও রয়েছেন। না, কোনও প্রান্তিক এলাকার ছবি নয় এটিই! সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া এই ছবিটি খাস কলকাতার (Kolkata) একটি ক্যাফেটেরিয়ার। শহরে চাঁদার জুলুমবাজির শিকার তরুণী। একটি জলসার জন্য চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। বুধবার রাতে লেক থানা (Lake Police) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে ওই তরুণী একটি কফি শপের (Coffee Shop) মালিক। চাঁদার দাবিতে তাঁকে একদল যুবক হেনস্থা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত বিজয় দত্ত-সহ আরও পাঁচ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র কটাক্ষ  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।

দিলীপের কথায়, “তোলাবাজি আগে মস্তানরা করত। এখন নেতারা করেন। কাউন্সিলের নাম করে তোলাবাজি চলছে। এক মহিলা এই দুর্দিনের বাজারে দোকান চালাচ্ছেন। তাঁর উপরেও জুলুমবাজি করা হচ্ছে। থানা থেকে ফেরার পথে রাস্তায় হেনস্থা করা হচ্ছে। এই সরকার দুর্বৃত্তদের হাতে চলে গেছে।” একটু থেমে তাঁর আরও সংযোজন, “বলা হয় আইন আইনের পথে চলবে। পার্টির তরফ থেকে মুখপাত্রকে কিছু একটা বলতে হয় । তাই বলার। এ তো প্রথম নয়। সুগত বসুর বাড়িতেও তোলাবাজ গিয়েছিল কাটমানি খেতে।”

অভিযোগ, এরপরই বুধবার রাতে আচমকাই তাঁক যোধপুর পার্কের (Jodhpur Park) কফিশপে ১০-১২ জন যুবক এসে চড়াও হন। অভিযোগকারী জানান, প্রথমেই ওই যুবকরা তাঁর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। শুরু হয় টাকার জন্য জোর জবরদস্তি। অভিযোগ, টাকা না দিলে কফি শপে ভাঙচুর চালানোর হুমকিও দেয় ওই যুবকরা। এমনকী অভিযোগকারী তরুণীকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজে ধরাও পড়ে সেই ছবি।

এরপরই বুধবার রাতে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। এদিকে থানা থেকে বেরোতেই ওই তরুণীকে ফের ওই যুবকেরা ঘিরে ধরে। এরপর লেক থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুদের উদ্ধার করে। এরপরই মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী।

সূত্রের খবর, চাঁদা চাওয়ার ঘটনায় এলাকায় পরিচিত তৃণমূল নেতা বিজয় দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে তিনিই মূল অভিযুক্ত। বাকিরা হলেন ভূপাল মণ্ডল, সনৎ নস্কর, ঝন্টু সিং, শত্রুঘ্ন মাহাতো।

ঘটনায়,  ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের কথায়, “আমি বিষয়টা কিছুই জানতাম না। আমাকে এখানে জড়াবেন না। আমি কোনওরকম টাকা তোলাকে সমর্থন করি না। ওরা আমার অনুগামী নয়। আমি পার্টিতে নতুন, তাই আমার অনুগামী তৈরি হয়নি।” শেষে তৃণমূল কাউন্সিলর দাবি করেছেন, বিজয় দত্তকে তিনি পার্টির সিনিয়র লিডার হিসেবেই জানেন।  স্বাভাবিকভাবেই খোদ তৃণমূল নেতার এই ঘটনায় নাম জড়ানোয় বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: Adani-Nabanna Meet: সত্যি হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বপ্ন’? নবান্নে আদানির বার্তাবাহক, তাজপুর বন্দর নির্মাণে বিশেষ বৈঠক

Next Article