BJP on Anubrata: কার ফোনে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলেছেন?: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
BJP on Anubrata: বিকেল ৩টে ২৫ মিনিটে এসডিপিও-র অফিসে হাজির হন অনুব্রত। এরপরই বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েই পুলিশের দুয়ারে গেলেন অনুব্রত।

কলকাতা: পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসার পরও কোনও হেলদোল ছিল না অনুব্রত মণ্ডলের। অডিয়োতে অনুব্রতর মুখে শোনা গিয়েছে অকথ্য ভাষা। দলকে চিঠিতে বুঝিয়েছেন তিনি অসুস্থ, ওষুধ খান, তাই মাথা গরম করে বলে ফেলেছেন। তবে পুলিশের নোটিস পেয়েও থানায় হাজিরা দেননি তিনি। অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন পাঁচ দিন। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় হাজির অনুব্রত। হঠাৎ কি মত বদলে ফেললেন তিনি? তাঁর হাজিরায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতার।
এদিন বিকেল ৩টে ২৫ মিনিটে এসডিপিও-র অফিসে হাজির হন অনুব্রত। এরপরই বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েই পুলিশের দুয়ারে গেলেন অনুব্রত।
বিজেপি নেতা বলেন, “দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছ থেকে অভয় পেয়েই আজ অনুব্রত হাজিরা দিয়েছেন। গতকাল (বুধবার) রাতে মুখ্যমন্ত্রী কার ফোনে ফোন করে অনুব্রতর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন? তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন! তারপরই আজ হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত। সাধের কেষ্ট ভাইয়ের কিচ্ছু হবে না।”
অনুব্রতর হাজিরায় এত দেরী কেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সাতদিন ধরে পুলিশকে ল্যাজে খেলিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদে নাস্তানাবুদ করেছেন পুলিশকে। পুলিশকর্তারা পারেনি কোমরে দড়ি বেঁধে আনতে। দলের পক্ষ থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
