কলকাতা : বাঙালির খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি নেতা পারেশ রাওয়াল (BJP leader Paresh Rawal)। বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বাংলার রাজনৈতিক নেতারা। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন পরেশ। তালতলা থানায় পরেশের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেলিম। তাঁর অভিযোগ, পরেশের এই মন্তব্য বাকি দেশের কাছে বাঙালিদের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করছে। তার করা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিজেপি নেতাকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হাজিরার জন্য নোটিশ পাঠায় তালতলা থানা। সূত্রের খবর, সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পরেশ।
‘দিল্লির মতো আপনাদের আশেপাশে যদি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা থাকতে শুরু করেন তখন কী করবেন? কী করবেন গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন?’ গুজরাটে নির্বাচনী সভায় বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের এই মন্তব্য নিয়েই বিগত কয়েক মাসে আগে বিস্তর হেরাফরি হয় গোটা দেশে। এমনকী বিতর্কের আবহে একপ্রকার বাধ্য হয়েও ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। বলেন, “মাছ নিয়ে কোনও ইস্যুই নেই, কারণ গুজরাটিরাও মাছ রান্না করেন এবং খান। আমি বাঙালি বলতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ প্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের বোঝাতে চেয়েছি। তাও যদি আমার মন্তব্যে কারোর ভাবাবেগে আঘাত লাগে, তবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” যদিও তারপরেও থামেনি বিতর্ক।
পরেশের বিতর্কের তীব্র সমালোচনা করে রাস্তায় নামে বাম যুবরা। কোন্নগরে মাছ ভেজে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছিল জেলার এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের। সেলিমের স্পষ্ট দাবি ছিল, “বাঙালিদের একটি বড় সংখ্যকই রাজ্যের বাইরে বসবাস করেন। পরেশ রাওয়ালের এই মন্তব্যের কারণে রাজ্যের বাইরে বসবাসকারী বাঙালিরা নিশানা ও প্রভাবিত হতে পারেন। যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। শ্রীরামপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, “বামফ্রন্ট ৩৪ বছরে অনেক নাটক দেখিয়েছে। আবার নতুন করে নাটক দেখাতে রাস্তায় নেমেছে।”