Sreebhumi: কলকাতায় নতুন ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ বিজেপির, উঠল শ্রীভূমির নাম

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 21, 2024 | 9:55 PM

BJP: শমীকের দাবি, পুরো ভিআইপি রোডের হোর্ডিং দেখার দায়িত্ব পিডব্লুডির। বিজেপির মুখপাত্রের কথায়, “লেকটাউন থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত অংশ অবৈধ হোর্ডিংয়ের স্বর্গরাজ্য। এমনকী শ্রীভূমির ফুটব্রিজে যে বিজ্ঞাপণ রয়েছে, সেগুলির চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর আগেই ফুরিয়ে গেলেও নতুন টেন্ডার হয়নি। কার পকেটে টাকা যাচ্ছে, কোথা থেকে আসছে অনুমেয়। এখানে একতরফা দুর্নীতি চলেছে।”

Sreebhumi: কলকাতায় নতুন দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির, উঠল শ্রীভূমির নাম
সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: তৃণমূলের বিরুদ্ধে হোর্ডিং দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের দাবি, কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় এই দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। শুক্রবার বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে অনেক কিছুই বলছেন। অথচ তাঁর সরকারের পরিচালিত পুরসভা ও পুরনিগমগুলি আকাশ চুরি করছে। তৃণমূল সর্বভুক। এদের খিদে মেটানো সম্ভব নয়। কলকাতাজুড়ে হোর্ডিং দুর্নীতি হচ্ছে।”

শমীকের কথায়, কলকাতার কোনও জায়গায় কোনও বেসরকারি সংস্থা হোর্ডিং লাগাতে চাইলে কলকাতা পুরনিগমের রক্সি বিল্ডিংয়ে গিয়ে আবেদন জানাতে হয়। নির্দিষ্ট রেট অফার করার পর সরকারি নিয়ম মেনে অনুমোদন পায়। কিন্তু তা নিয়ম মেনে হচ্ছে না বলে দাবি বিজেপির।

শমীক বলেন, “গত ৩৫ বছরে ইনফরমেশন অ্যান্ড কালচারাল ডিপার্টমেন্ট কোনও টেন্ডার ডাকেনি হোর্ডিং বিজ্ঞাপণের জন্য। একই সংস্থা গত ৩৫ বছর ধরে বিজ্ঞাপণ দিয়ে চলেছে। কলকাতাজুড়ে যত মেলা হয়, এমআইসি ঘনিষ্ঠ তিনটি কোম্পানি ছাড়া আর কেউ বরাত পায় না।”

শমীকের দাবি, পুরো ভিআইপি রোডের হোর্ডিং দেখার দায়িত্ব পিডব্লুডির। বিজেপির মুখপাত্রের কথায়, “লেকটাউন থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত অংশ অবৈধ হোর্ডিংয়ের স্বর্গরাজ্য। এমনকী শ্রীভূমির ফুটব্রিজে যে বিজ্ঞাপণ রয়েছে, সেগুলির চুক্তির মেয়াদ ৫ বছর আগেই ফুরিয়ে গেলেও নতুন টেন্ডার হয়নি। কার পকেটে টাকা যাচ্ছে, কোথা থেকে আসছে অনুমেয়। এখানে একতরফা দুর্নীতি চলেছে।

শমীকের নিশানায় ছিল কেএমডিএ-ও। শমীক বলেন, উল্টোডাঙ্গা থেকে রুবি পর্যন্ত সব হোর্ডিং তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্থানীয় নেতাদের দিয়ে টেন্ডার নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। ১২ বছরে বাড়েনি রেট। নিউমার্কেট থানায় একটি অভিযোগও হয়েছে বলে জানান তিনি। শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ধর্মতলায় কতগুলি হোর্ডিং লাগানো আছে, কত টাকা আসে, মেয়র ফিরহাদ হাকিম তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।

যদিও পাল্টা কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হোর্ডিং দুর্নীতি আমরা প্রশ্রয় দিই না। কোনটা আইনি কোনটা বেআইনি তা বারকোডের মাধ্যমেই বোঝা যায়। গোটা বিষয়টা যাঁরা দেখেন, তাঁরা দীর্ঘদিনের, যথেষ্ট অভিজ্ঞ।”

Next Article