কলকাতা: “মানুষের টাকা আটকে রেখে জমিদারি চলবে না। এই জমিদারি শাসনের অবসান কিন্তু বাংলার মানুষই ঘটাবে। মানুষ গর্জে উঠেছে, আগামীদিনে এর উত্তর বিজেপি পাবে।” দিল্লি পুলিশের হাতেই আটক হতেই রাজধানী থেকে এ ভাষাতেই গর্জে উঠেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খানিক খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “আটকও করেছে, আবার বন্ডে ছেড়েও দিয়েছে।”
এরপরই আইন দেখিয়ে ডায়মন্ড-হারবারের সাংসদকে ডায়মন্ড-হারবার খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আইন কারও ঊর্ধ্বে নয়। পাঁচজনকে অ্যালাউ করেছিল। ৪০ জনকে নিয়ে গিয়েছিল। ওটা ডায়মন্ড হারবার নাকি কলকাতা ব্রিজ? যথেষ্ট সময় দিয়েছে। পাঁচজনকে তো ডেকেছিল। ৪০ জনকে নিয়ে যাবে, ওটা হাট নাকি? ডায়মন্ড হারবার নাকি?” যদিও ইতিমধ্যেই টুইটে রণহুঙ্কার দিয়ে অভিষেক আবার লিখেছেন, “জমিদারদের সামনে বাংলা মাথা নোয়াবে না।”
BENGAL WILL NOT BOW DOWN BEFORE THE ZAMINDARS! pic.twitter.com/iH6OHaihmx
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) October 3, 2023
প্রসঙ্গত, এদিন সন্ধ্যার কিছু আগে কৃষি ভবনে যান তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে অভিষেক থাকলেও দলে ছিলেন শান্তনু সেন, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্রর মতো সাংসদরা। সেখানে কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী ৫ জনের সঙ্গে দেখা করার কথা জানালেও তৃণমূলের তরফে জানানো হয় সকলের সঙ্গেই করতে হবে দেখা। শুরু হয় বিক্ষোভ। তখনই দিল্লি পুলিশ সকলকে আটক করে গাড়িতে তুলে পুলিশ লাইনে নিয়ে চলে যায়। এদিকে ঘটনায় শান্তনু সেন দাবি করেছেন, তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ছিনতাইও করা হয়েছে টাকা। পাল্টা খোঁচা দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “কলকাতায় আমাদের সঙ্গে পুলিশ কী করে? আমরা তো অনুমতিও পাই না। গাড়ি থেকে নামলেই তুলে নিয়ে যায়। তাহলে ওঁরা কেন আশা করছেন ওঁদের কোলে করে নিয়ে গিয়ে চা খাওয়াবে?”