কলকাতা: কিছুতেই থামছে না অশান্তি। গত দু’দিন ধরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ার (Howrah) বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে। এদিক শনিবারই হাওড়ায় ঢোকার মুখে গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumder)। যদিও সন্ধ্যাতেই জামিন পেয়ে যান তিনি। এদিকে এর মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে রাজভবনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল সিনহা, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য, অগ্নিমিত্রা পালরা। ছিলেন খোদ সুকান্ত মজুমদারও। রাজভবন থেকে বেরিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”গোটা রাজ্য বিপজ্জনক জায়গাতে পৌঁছে গিয়েছে। পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে যতটা সক্রিয় ছিল। সেই কাজ হাওড়ায় করলে এই পরিস্থিতি হত না”।
এখানেই না থেমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে সুকান্ত বলেন, “সেন্ট্রাল ফোর্স নামাতে হবে। মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক। উনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের বলেছেন বিজেপির রাজ্যে গিয়ে আন্দোলন করতে। রাজ্যপালকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রী যাতে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন সেটা দেখতে”। তবে পুলিশের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও এক গুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন তিনি। সুকান্তর সাফ বক্তব্য, “পুলিশকে সরিয়ে কি হবে? সরকারকে সরাতে হবে। পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কিছু না করার জন্য। এখন পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশকে দোষী করে এত বড় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া যাবে না”।
একই সঙ্গে আধা সেনা নামামো প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সবটা বলেছি। কিন্তু রাজ্য না চাইলে তো সেন্ট্রাল ফোর্স আসত পারে না। দার্জিলিংয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে সমস্যায় পড়েছিলেন, তখন তো সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট্রাল ফোর্স ডেকে ছিলেন। রাজ্যের এত মানুষ বিপদের মধ্যে তখন কেনও ডাকা হবে না?”।