কলকাতা: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ছেলে শুভ্রাংশু বলছেন, তাঁর বাবার শরীর ভাল নেই। ১০০ থেকে ৭ বাদ দিলে কত হয়, সেটা বলতে গেলেই নাকি আজকাল ভাবতে হয় মুকুলকে। আর মুকুল রায়ের বেফাঁস মন্তব্যের পর তৃণমূলের তরফেও বলা হয়েছে তিনি অসুস্থ। এবার সরাসরি মুকুলকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মানসিক ভাবে যিনি সুস্থ নন, তাঁর হাতে কী ভাবে পিএসি চেয়ারম্যানের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ রাখা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।
বিধানসভায় সিলেক্ট কমিটির বৈঠক নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকে অবশ্য হাজিরই ছিলেন না তিনি। এদিকে বিরোধী দলনেতার অনুপস্থিতিতে লোকায়ুক্ত ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনয়ন হয়ে গিয়েছে। লোকায়ুক্ত হিসাবে মনোনীত হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের নাম। আর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে শিবকান্ত প্রসাদের নাম সুপারিশ করা হয়েছে রাজ্যপালের কাছে।
এদিকে বৈঠকে বিধানসভার বিরোধী নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, উনি হয়তো রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন।
আর বিধানসভার অধ্যক্ষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুকুলকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তাঁর পালটা কটাক্ষ, “শাসক দলের সদস্যকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) চেয়ারম্যান হতে আমিও দেখিনি। যাঁকে আবার পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন! আমাদের চলতি কথায় যাকে পাগল বলা হয়। রাজ্যের হিসাব পরীক্ষার দায়িত্ব পাগলের হাতে। এটাও তো আমি কোনওদিন দেখিনি। এই অধ্যক্ষের সময় যা হয়েছে।”
মুকুলের বেফাঁস মন্তব্য:
বীরভূমে পৌষমেলার অনুষ্ঠানে গিয়ে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে ফের বেফাঁস মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়। তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, বাকি পুরভোটে জিতবে বিজেপি। আবার তাঁকে দলের লোক ভুল ধরিয়ে দিলে মুকুলবাবু বলেন, ‘তৃণমূল মানেই বিজেপি।’ এর প্রতিক্রিয়ায় দিন কয়েক আগে শুভেন্দু অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিলেন। এবার সরাসরি তাঁকে পাগল বলে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুললেন কেন পিএসি চেয়ারম্যান পদে রাকা হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করা মুকুল আবার আইনজীবী মারফত জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক!
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরপর তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করেন বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হওয়া মুকুল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুকে বাবার শারীরিক অবস্থার কথা বলে কাঁচড়াপাড়া থেকে যাতায়াত না করে কলকাতায় বাবার সঙ্গে এসে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও কলকাতায় আর একসঙ্গে থাকা হয়নি বাবা-ছেলের। মুকুল থাকেন সল্টলেকের বাসভবনে। ছেলের আসা-যাওয়া করেন।