
কলকাতা: দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টা পেরনোর পরও নিজেদের অধিকারের লড়াই লড়ে যাচ্ছেন কুড়মিরা। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে রেলপথ। বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণকে। এ দিকে, জনগণের এই ভোগান্তি নিয়ে রাজ্যকে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ‘ভোটব্যাঙ্ক’ রাজনীতিকে নিশানা বিরোধী দলনেতার।
শনিবার একটি টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোটের আগে উস্কানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারই ফল ভুগছে লাখো-লাখো মানুষ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার কোনও ইচ্ছাই নেই রাজ্য সরকারের। প্রশাসন ব্যর্থ।”
Large parts of WB is out of State Administration’s control. Railway tracks & Highways are blocked due to the agitation of one community.
Seems like there’s no State Govt in WB. Why no efforts to resolve the situation through dialogue?
It’s result of @MamataOfficial‘s instigation. pic.twitter.com/nYPa2LzYFg— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) April 7, 2023
যদিও এর পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “আসলে লোডসেডিংয়ে জেলা বিরোধী দলনেতা সকাল থেকে ব্যস্ত থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন তা খুঁজতে। তার ফল-স্বরূপ মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে। সেই কারণে বাংলার বদনাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম করছেন। আজকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি ভালবাসা বিজেপি-র থেকে অন্তত তৃণমূলকে শিখতে হবে না। আজকে গোটা ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তাকিয়ে দেখুক সেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষ কীভাবে রয়েছেন। আর বাংলায় তাকিয়ে দেখুন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কতটা উন্নয়নের আলো দেখতে পেয়েছেন। বিজেপি-র দলিত প্রেম হল রেস্তোরা থেকে খাবার কিনে দলিতদের বাড়িতে ঢেলে তা খেয়ে চলে আসা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত। তাই বিজেপি-র মুখে এই কথা মানায় না”
উল্লেখ্য, আদিবাসী কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামের অবরোধ কর্মসূচি। তার জেরেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।