কলকাতা: দলের সিদ্ধান্ত ও কয়েকজন শীর্ষ নেতার সমালোচনা করে তাঁর ধারাবাহিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। রাগত স্বরে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) তো বলেই দিয়েছেন তাঁকে দল ছাড়তে। যদিও স্বেচ্ছায় দল ছাড়তে নারাজ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় (Tathagata Roy)। আপাতত তিনি সাধারণ সদস্য হয়ে দলে থাকছেন বলে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তথাগতের। এমনকি হুঁশিয়ারি দিলেন দলের ‘গুপ্ত কথা’ ফাঁস করারও।
শনিবার নিউ টাউনে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তথাগত রায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে দিলীপ ঘোষ তাচ্ছিল্যের সুরে বলেছিলেন, “কত দিন আর লজ্জা পাবেন? দল ছেড়ে দিন। যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি। দল যাঁদের সব থেকে বেশি দিয়েছে। তাঁরাই দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য এটা।” তথাগতের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতেই এহেন মন্তব্য করেন বিজেপির সহ সভাপতি। এদিকে রবিবার তথাগত ফেসবুক ও টুইটারে পাল্টা জানালেন, তিনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছেন না। দল ছাড়লে অনেক ‘গুপ্ত কথা’ ফাঁস করতে পারতেন বলে দাবি তাঁর। আপাতত বিজেপিতে তাঁর কাজ, সাধারণ সদস্য হিসাবে অনেকটা যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করা।
ঠিক কী লিখেছেন তথাগত?
ফেসবুক পোস্টে তথাগত লেখেন, “গতকাল থেকে ফোনে ফোনে জর্জরিত হয়ে গেলাম। সকলকে আশ্বস্ত করছি এই বলে, যে আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না। আমি আপাতত এখন সাধারণ সদস্য। এই অবস্থাতেই যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাব। দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথাই ফাঁস করতে পারতাম কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না।” (বানান ও বাক্যগঠন অপরিবর্তিত)।
এদিকে বারবার তথাগতের এই ‘বিবেকের পাঠ’-এ বিড়ম্বনায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। যেভাবে প্রতিদিন তথাগতবাবু দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করছেন, তাতে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে বলে মত তাঁদের।
এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তথাগত-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে বলে সূত্রের খবর। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষকে যেভাবে তিনি আক্রমণ করে আসছেন, তাতে দলই বিড়ম্বনায় পড়ছে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের কোনও ক্ষমতা নেই তথাগতের মতো হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে সরানোর। তাঁকে দেখেই তো এক সময় বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই তাঁরই এমন ধারাবাহিক সমালোচনায় দ্বিধা ও দ্বন্দ্বে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এখন তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের। এখন দেখার এ নিয়ে কী পদক্ষেপ করেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তার পর তথাগতবাবুরই ভূমিকা কী হয় সেদিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: Weather Update: শহরে হিমেল পরশ, পশ্চিমের জেলাগুলিকে জোর টক্কর কলকাতার!