
কলকাতা: ২০১৬-র নিয়োগের বেনিয়ম নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একসময় মামলা শুনেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়েই চাকরি বাতিল হয় বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। নিয়োগের বেনিয়মের কথা উঠে এসেছিল সেই রায়ে। এবার অযোগ্যদের নাম প্রকাশ হতেই প্রাক্তন বিচারপতি বললেন এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেখানে ১৮০৬ জনের নাম রয়েছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, এই সংখ্যাটা অনেক বেশি হওয়া উচিত।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কী কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে। একদল পরীক্ষাতেই বসেনি, চাকরি পেয়ে গিয়েছে। লিস্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সুপারিশ করে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে একদলকে। এছাড়া এসএসসি যতজনকে সুপারিশ করেছিল, তার থেকে বেশি লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সব তালিকা এখানে নেই।” তাঁর মতে, অযোগ্যদের সংখ্যা অন্তত পাঁচ থেকে ছ’হাজার।
তালিকায় ওই দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোন স্কুলে কাজ করত, সেটাও দেওয়া হয়নি। তাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।” এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
এছাড়া, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, আবারও দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই তিনি চান, পরীক্ষার সময় ওএমআর সরবরাহ এবং আলাদা সিল কভারে সেগুলি নিয়ে যাওয়ার কাজটা কমিশন ছাড়া অন্য কোনও অথরিটিকে দিয়ে করাতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টা বিবেচনা করে দেখবে বলে মনে করেন তিনি।