কলকাতা: জোট বিতর্ক তো ছিলই। সেই সঙ্গে টুইটে প্রকট হয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর সেই সুযোগ নিয়েই এবার অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) বিজেপিতে স্বাগত জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবি, কংগ্রেসে বেশি দিন থাকতে পারবেন না অধীর।
ভোট এগিয়ে এলেও দল বদলের হাওয়া জারি আছে। বাংলায় জমি শক্ত করতে একের পর এক নতুন মুখ এনে চমক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রার্থী তালিকাতেও সেই চমক জারি থাকবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের। ভোটে আর এবার সরাসরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেই কংগ্রেস ছাড়ার পরামর্শ দিলেন দিলীপ।
সোমবার থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মার সঙ্গে টুইট যুদ্ধ শুরু হয় অধীরের। বিষয়, আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফের জোটে সংযুক্তিকরণ। বিষয়টাতে শুরু থেকেই অধীরের আপত্তি সামনে এলেও আনন্দ শর্মা এই ইস্যুতে প্রশ্ন তুলতেই তাঁকে এক হাত নেন অধীর। আর এরপরই অধীরের সূত্র ধরে কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি।
মঙ্গলবার Tv9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অধীরবাবুকে নিয়ে চিন্তার কারণ আছে, অধীরবাবু নিজেও চিন্তায় আছেন। উনি কত দিন কংগ্রেসে থাকবেন জানা নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গের জন্য যদি কাজ করতে চান, তাহলে দেখুন কংগ্রেসে থাকবেন নাকি অন্য কোনও রাস্তায় যাবেন।’’ বিজেপিতে আসার জন্য দরজা খোলা আছে কিনা সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সবার জন্যই আমাদের দরজা খোলা।’’
এছাড়া, রাজ্যে বিজেপি কতগুলি সভা হবে সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, আপাতত ব্রিগেডে একটি সভা করবেন মোদী, প্রথম দফায় যে সব জায়গায় ভোট আছে তার মধ্যে অন্তত দুটি জায়গায় সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এখনও সভার কোনও নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021 LIVE: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
সোমবার অধীরকে সরাসরি আক্রমণ করে টুইট করেন আনন্দ শর্মা। তাঁর দাবি, আইএসএফের বা এই ধরনের দলের সঙ্গে জোট গান্ধী-নেহরুর আদর্শের পরিপন্থী। ব্রিগেডের মঞ্চে অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিও ভালো চোখে দেখেননি তিনি। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি লজ্জাজনক। ওনাকে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। এরপর তাঁকে কার্যত একহাত নেন অধীর চৌধুরী। সোমবার রাতেই আনন্দ শর্মাকে বার্তা দিয়ে একগুচ্ছ টুইট করেন অধীর।