Bengal BJP: ‘… সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে!’, বুদ্ধিজীবীদের নজিরবিহীন আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 08, 2021 | 6:48 PM

BJP: বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শিল্পীমহল, এর আগেও একাধিক বার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে।

Bengal BJP: ... সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে!, বুদ্ধিজীবীদের নজিরবিহীন আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: পেট্রোল ডিজেলের ভ্যাটে রাজ্যের লভ্যাংশে ছাড় দিতে হবে, এই দাবি তুলে সোমবার পথে নেমেছিল বিজেপি। সেখানেই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলের উপর আক্রমণের তির শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, ‘কথায় কথায় উত্তর প্রদেশ, হাথরস দেখান বুদ্ধিজীবীরা। অথচ তাঁদের সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে।’

এদিন ৬ মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য অফিস থেকে মিছিল করে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল দলীয় নেতা-কর্মীদের। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে নতি স্বীকার করতে হয়। এরপর রাজ্য দফতরের সামনে একটি টেম্পোতে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন সুকান্ত। তারই রেশ ধরে কাঠগড়ায় তোলেন বাংলার বুদ্ধিজীবী মহলকেও। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, গোটা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো যাদের আপনারা কথায় কথায় বলতেন। তারা কিন্তু ভ্যাট কমিয়েছে। বাংলায় আবার বুদ্ধিজীবী আছে কিছু। বাংলা তো আবার বুদ্ধিজীবীদের জায়গা। আমাদের কেউ বুদ্ধীজীবী বলে না। আপনি যতই পড়াশোনা করে থাকুন, বিজেপি করলে আপনি বুদ্ধিজীবী নন। বুদ্ধি কমে যাবে আর কী! সেই বুদ্ধিজীবীরা যারা কথায় কথায় উত্তর প্রদেশ দেখাতেন, হাথরস দেখাতেন, বেনারস দেখাতেন, তাঁদের সব রস এখন উধাও হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর কেউ বলছেন না, উত্তর প্রদেশে পেট্রোলের দাম বাংলা থেকে কম! মুখ্যমন্ত্রী আপনার লজ্জা হয়? বুদ্ধিজীবী মানুষ যাঁরা আছেন, তাঁদের লজ্জা হয়? নাকি লজ্জাসরম বিক্রি করে দিয়েছেন?”

বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শিল্পীমহল, এর আগেও একাধিক বার বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এরকমই বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। তখন তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকব’ গানটি নিয়ে দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।”

এদিন শুধু বুদ্ধিজীবীরাই নয়, মদন মিত্র ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিল সুকান্তের নিশানায়। বিজেপির সোমবারের মিছিলে অনুমতি না দেওয়ার কারণ হিসাবে বলা হয়, করোনা বিধি। তা নিয়েই সুকান্ত বলেন, জন্মদিনে জিনস পরে খোকাবাবু বেরিয়ে এলেন, আমরা খুব আনন্দ পেলাম। প্রচুর লোক, কারও মুখে মাস্ক নেই। তখন করোনা ছিল না।’ পাশাপাশি, নাম না করে মদন মিত্রকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘একজন কালারফুল নেতা, তিনি কালারফুল পোশাক পরে, কালারফুল গাড়িতে রাস্তা দিয়ে গেলেন। তখন করোনা ছিল না।’ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গোরুর গাড়িতে চেপে রাস্তায় নেমেছিলেন মদন। সেই প্রতিবাদের কথাই উল্লেখ করেন বিজেপি সাংসদ।

আরও পড়ুন: BJP Agitation UPDATE: ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের, পিছু হঠতে বাধ্য করল পুলিশও

 

Next Article