কলকাতা : লোকসভা নির্বাচনের এখনও ঢের দেরি। ২০২৪ সালে ভোট। কিন্তু তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। প্রতিটি দলই নিজের মতো করে রাজনীতির ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। শনিবার থেকে হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। শনিবার হায়দরাবাদ থেকে সুকান্ত বাবু হুঙ্কার দিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার থেকে ২৫ টি আসন আসবে পদ্মের ঝুলিতে। আর সুকান্ত বাবুর এই মন্তব্যের পর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে বক্রোক্তি শানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার ২৫ আসন জেতার দাবি লিখিত দিতে পারবেন কি না। লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হলে, সুকান্ত বাবু ‘রাজনীতি ছেড়ে দেবেন’ এবং ‘কান ধরে ওঠবোস করবেন’, এমন কথাও লিখিতভাবে দিতে বলেছেন তিনি।
আর এই নিয়েই বেজায় চটেছেন সুকান্ত মজুমদার। ফিরহাদ হাকিমের এ হেন খোঁচার পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনিও। টুইটারে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “ফিরহাদ হাকিম কে? উনি কি পশ্চিমবঙ্গের দন্ডমুন্ডের কর্তা? ওনাকে লিখিত দিতে হবে কেন? ২০১৯ এর ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ৪২-এ ৪২। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ব্যারাকপুর আসন ২ লক্ষ ভোটে না জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আপাতত উনি মাসিক ৩০ লক্ষ টাকা আয়ের উৎসের দিকে মন দিন।”
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে মমতার ৪২-এ ৪২-এর লক্ষ্যে জল ঢেলে বিজেপি ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল। তারপর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বিজেপি একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ২০০ পার করার হুঙ্কার দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭৭ টি আসনেই থমকে যেতে হয়েছিল বিজেপিকে। তারপর পুরনিগমের ভোট এবং পুরসভার ভোটেও সেভাবে কোনও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি পদ্ম শিবির। সেই নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে খোঁচা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার মেয়রের কথায়, “বিধানসভা নির্বাচনে ‘আব কি বার ২০০ পার’ করার কথা বলে বিজেপি যে ধাক্কা খেয়েছে, তারপর আর ফিরে আসা সম্ভব নয়।”