
কলকাতা: বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। নৃশংস সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ২ মাসের বেশি। কিন্তু, ঘটনার তদন্তে পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নদিয়ার নবদ্বীপের মৃত বিজেপি কর্মী সঞ্জয় ভৌমিকের পরিবার। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। আগামিকাল (২৭ নভেম্বর) শুনানির সম্ভাবনা।
মৃতের পরিবারের বক্তব্য, সঞ্জয় ভৌমিক বিজেপি কর্মী ছিলেন। সেই জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা শাসকদল তৃণমূলের কর্মী হওয়ায় পুলিশ তদন্তে তৎপর হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের আবেদন করে সঞ্জয় ভৌমিকের পরিবার।
সঞ্জয় ভৌমিকের বাড়ি নবদ্বীপ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুরে। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, বিশ্বকর্মা পূজার রাতে সঞ্জয় বাড়ি ফিরছিলেন। তখন এলাকায় ঝামেলা চলছিল। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে বচসা বাধে। এরপর বাড়ি ফিরে রাতে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে ঢুকে সঞ্জয়কে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। বাধা দিতে গেলে সঞ্জয়ের মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
সঞ্জয়কে খুনের অভিযোগে নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। জানা যায়, অভিযোগপত্রে তিনজনের নাম উল্লেখ ছিল। এর মধ্যে ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু, এক অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। ২ দিন আগে নবদ্বীপ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে সক্রিয় নয়। তাই, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল তারা। এখন হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।