West Bengal Primary Teacher: পর্ষদ বনাম তৃণমূল! প্রাইমারিতে এবার ‘খেলা হবে’ বিতর্ক
Primary Teacher Khela Hobe Controversy: পর্ষদের দাবি, খেলা হবে নির্দিষ্ট সময়েই। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি, '৪ তারিখে আমাদের বিএলও-দের কাজটা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। তাই ১১ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলা হোক। এই দাবিতেই আমরা ৩৫টি সাংগঠনিক জেলা থেকে পর্ষদ সভাপতির কাছে আবেদন জানিয়ে গিয়েছি।'

কলকাতা: বিএলও-র কাজ করতে হবে। তাই এখন খেলা নয়। যা ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধিতায় সরব হল তৃণমূলের শিক্ষকরাই। গোটা ঘটনাকে কেউ কেউ বললেন, এটা তৃণমূলেরই ‘খেলা হবে’ বিতর্ক। কিন্তু বিতর্কের সূত্রপাতটাই বা কী?
আগামী দু’মাস ধরে রাজ্য়ের প্রতিটি সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্য়ালয় স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষকরাই যখন বিএলও-র কাজ করবেন, এমতাবস্থায় খেলা করাবেন কে? তাই এই সময় খেলা চায় না প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এদিকে নির্ধারিত সময়ের বাইরে পা রাখতে চায় না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের দাবি, খেলা হবে নির্দিষ্ট সময়েই। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি, ‘৪ তারিখে আমাদের বিএলও-দের কাজটা প্রায় শেষ হয়ে যাবে। তাই ১১ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলা হোক। এই দাবিতেই আমরা ৩৫টি সাংগঠনিক জেলা থেকে পর্ষদ সভাপতির কাছে আবেদন জানিয়ে গিয়েছি।’
দুই পক্ষের দাবি ভিন্ন। যুক্তিও ভিন্ন। তাই নীতি যুদ্ধ যে শুরু হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই যুদ্ধে জয় কার হল?
বলে রাখা প্রয়োজন, সম্প্রতিই তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষা সংগঠনের সভাপতি পদে বসেছেন মইদুল ইসলাম। রাজনীতির আঙিনায় তিনি ঘোর ‘সরকার বিরোধী’। সেই মইদুলের ‘কামব্যাক’ ঘটতেই তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে নতুন বিতর্ক। শুরু হয়েছে নতুন নীতি যুদ্ধ। যার একদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, জয়ধ্বনি কারা বাজাবেন, তা খুবই স্পষ্ট। আর তেমনটাই হয়েছে। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের দাবিতেই মান্যতা দিয়েছে পর্ষদ। শিক্ষকরা বিএলও-র কাজে ব্যস্ত, তাই এখন খেলা নয়, জানিয়েছে পর্ষদ। পক্ষান্তরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ‘ব্রাত্য-বিরোধী’ মইদুল।
