কলকাতা: শহরতলিতে আবারও উদ্ধার এক পচাগলা দেহ (Body Recovered)। সোমবার কলকাতা সংলগ্ন কৈখালির (Kaikhali) দাসপাড়া এলাকায় এক বহুতল আবাসন থেকে প্রৌঢ়ের পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম জয়দীপ দাস। বয়স বছর পঞ্চাশের আশপাশে। সোমবার বিমানবন্দর থানার পুলিশ প্রৌঢ়ের দেহটি উদ্ধার করেছে। কীভাবে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন জয়দীপ দাস নামে ওই প্রৌঢ়।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই প্রৌঢ়কে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় দেখতে পাচ্ছিলেন না এলাকাবাসীরা। এরপর এদিন বিকেল থেকে ওই বহুতল আবাসনের আবাসিকরা প্রৌঢ়ের ঘর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পেতে থাকেন। তাতেই সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া-শব্দ পাওয়া যায় না। এদিকে সময় যত এগোয়, ততই তীব্র হয় পচা গন্ধ। দেরি না করে প্রতিবেশীরা খবর দেন বিমানবন্দর থানায়। এলাকাবাসীদের থেকে খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকে।
পুলিশ বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই আরও তীব্র হয় সেই বিকট গন্ধ। দেখা যায় বাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছে জয়দীপবাবুর পচা-গলা দেহ। কবে প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ হলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই বাড়িতে একাই থাকতেন জয়দীপবাবু। প্রৌঢ়ের দাদা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। তাঁর মাও সেখানেই থাকেন বড় ছেলের সঙ্গে। দিল্লিতে তাঁদের কাছেও এই মৃত্যুর খবর পাঠানো হয়েছে। কীভাবে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল, সেই উত্তর খুঁজছেন পুলিশকর্মীরা। গোটা ঘটনায় এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।