Bratya Basu EXCLUSIVE: ‘ওঁদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে…’, চাকরিহারাদের মধ্যে কাদের উদ্দেশে বললেন শিক্ষামন্ত্রী?
Bratya Basu EXCLUSIVE: শিক্ষামন্ত্রীর জবাব, "আমার ধারণা, অনেকটা কেটেছে। কিন্তু আমার ধারণা চূড়ান্ত নয়।" আর সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি দাবি করলেন, চাকরিহারাদের একাংশ 'প্রোভোকড্', অর্থাৎ বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট।

কলকাতা: চাকরিহারারা আন্দোলন করছেন। রাজপথে নেমেছেন তাঁরা। একপক্ষ করছেন অনশনও। কিন্তু চাকরিহারাদের মধ্য়েও বিভাজন রয়েছে। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কিছুটা হলেও কি আশ্বস্ত হলেন? শিক্ষামন্ত্রীর জবাব, “আমার ধারণা, অনেকটা কেটেছে। কিন্তু আমার ধারণা চূড়ান্ত নয়।” আর সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই তিনি দাবি করলেন, চাকরিহারাদের একাংশ ‘প্রোভোকড্’, অর্থাৎ বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “ওদের একাংশের কাছে একটা প্রোভোকেশন রয়েছে, একটা চূড়ান্ত প্রোভোকেশন রয়েছে। বিরোধী দলের সে সব লোকেদেরই উস্কানি আছে, যাঁরা মূলত ওঁদের চাকরি খাওয়ার জন্য দায়ী। এদিনের বৈঠকের পর যদি ওঁরা আশ্বস্তও হন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই আশ্বস্ত হওয়াটাও নানারকমের উস্কানিতে বদলে যেতে পারে। সেটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারে।” আর সে প্রসঙ্গেই অনশনকারীদের প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “এদিনের বৈঠকে যে সমস্ত চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, তাঁরাই পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন, যাঁরা অনশন করছেন, এই ছোট অংশটা ওদের কেউ নন। মানে ওদের মধ্যে বিভাজন রয়েছে।”
শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, “বিভাজনটা কেন হচ্ছে?”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “একদল বলছে, আমরা অনশন করছি না। ওঁদের বক্তব্য যাঁরা অনশন করছেন, তাঁরা একটি রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট। তবে তাঁদের প্রতিও আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। তারাও যোগ্য, বঞ্চিত। কিন্তু আন্দোলনকে যে জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, সেটা আক্রমণাত্মক হচ্ছে। পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে কেন?” শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যাতে পুরো প্যানেলটাই বাতিল হয়, যাতে ওরা পুনরায় চাকরি ফিরে না পান, তার জন্য কনস্ট্যান্ট প্রোভোকেশন রয়েছে। আন্দোলন যাতে রাস্তায় ক্রমাগত ঘটতে থাকে।”
শিক্ষামন্ত্রী সেপ্রসঙ্গে তুলে আনেন বাম আমলের কথা। তিনি বলেন, “এখন যোগ্য অযোগ্য শব্দ শোনা হচ্ছে, ২০০৬-০৭ সালে শব্দ ছিল ইচ্ছুক অনিচ্ছুক। তখন জমি প্রসঙ্গে, এখন চাকরিহারা প্রসঙ্গে। কিন্তু একটা দৃষ্টান্তও দেখাতে পারেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সকলকে ডাকলেন, এই হচ্ছে আমাদের ন্যারেশন, আমাদের ব্যাখ্যা!”
কসবায় যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাঁর পিছনেও সেই ‘বিচ্ছিন্ন ছোট অংশই’ অর্থাৎ যাঁরা রাজনৈতিক মদতপুষ্ট, তাঁরাই দায়ী বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ” সেদিন যাঁরা নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে অশান্তি পাকিয়েছিলেন. তাঁদের মধ্যেই একটা অংশ কসবায় গেলেন, তাঁরাই অশান্তি করলেন। আন্দোলন অধিকার, অপেক্ষা করতে বলছি। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা চালাচ্ছেন।

