কলকাতা : সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ব্রাত্য বসু। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে। এবার নাটকের বইয়ের জন্য পুরস্কৃত হচ্ছেন তিনি। ‘মীরজাফর ও অন্যান্য নাটকে’র জন্য এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি তরুণ কবি গৌরব চক্রবর্তী এবার যুব সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পেয়েছেন। ‘শ্রীমান সনেট’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এই পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।
‘অশালীন’, ‘অরণ্যদেব’ সহ একাধিক নাটক তাঁকে বিশেষ জনপ্রিয়তা দিয়েছে। ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’, ‘রুদ্ধসংগীত’, ‘কৃষ্ণগহ্বর’, ‘মুম্বই নাইটস’ সহ তাঁর লেখা একাধিক নাটক বিভিন্ন সময়ে মঞ্চস্থ হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ব্রাত্য বসু। পরে কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। গণকৃষ্টি নামে এক থিয়েটার গ্রুপে সাউন্ড অপারেটর হিসেবে তিনি তাঁর নাট্যজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ওই দলের জন্য নাটক লিখতে ও পরিচালনা করতে শুরু করেন।
আধুনিক নাটক অশালীন তাঁর প্রথম নাটক। ১৯৯৬ তে সেই নাটক লেখেন তিনি। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল অরণ্যদেব, শহরইয়ার, উইঙ্কল টুইঙ্কল ও হত্যারহস্যমূলক নাটক চতুষ্কোণ। ১৯৯৮ সালে তিনি শ্যামল সেন স্মৃতি পুরস্কার ও ২০০০ সালে দিশারী পুরস্কার পান। ২০০৮ সালে তিনি ‘ব্রাত্যজন’ নামে নিজস্ব একটি থিয়েটার গ্রুপ তৈরি করেন। ২০০৯ সালে দেবব্রত বিশ্বাসের জীবন অবলম্বনে নির্মিত নাটক রুদ্ধসংগীত তাঁর সাম্প্রতিকতম নাটক।
বছর দশেক আগে দু’টি ছবিও পরিচালনা করেছেন ব্রাত্য বসু। একটি রাস্তা ও অপরটির নাম তারা। প্রথমটির বিষয়, এক যুবকের সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠা, এবং দ্বিতীয়টির বিষয়, সমাজ ও প্রেমের ব্যর্থতা। কালবেলা সহ একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি। সম্প্রতি আরও একটি সিনেমায় নির্দেশনার কাজ করেছেন তিনি, যার নাম “ডিকশনারি”।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্রাত্য বসু তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দমদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ও জয়ী হন। এই নির্বাচনে তিনি সিপিএএম নেতা তথা মন্ত্রী গৌতম দেবকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় তাঁকে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : Howrah Municipal Election: ‘পদত্যাগ করা উচিত’, দাবি বিজেপির, হাইকোর্টে ভুল স্বীকার AG-র