BSF on Mamata Banerjee’s claim: গরু পাচারের দায় বিএসএফ-এর? মমতার অভিযোগে মুখ খুললেন ডিআইজি
BSF on Mamata Banerjee's claim: অস্ত্র পাচার বা গরু পাচারের ক্ষেত্রে বিএসএফ দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযোগ ওড়ালেন বিএসএফ আধিকারিক।
কলকাতা : ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা খণ্ডন করলেন বিএসএফের ডিআইজি (দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার) সুরজিত সিং গুলারিয়া। অস্ত্র বা গরু পাচারের ক্ষেত্রে বিএসএফের দায়িত্ব রয়েছে বলে সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিআইজি সরাসরি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি অস্ত্র ঢুকত তাহলে, রাজ্য পুলিশ আমাদের সঙ্গে কোন এলাকা থেকে অস্ত্র ঢুকছে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করত। কিন্তু রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তাহলে এই ধরনের অভিযোগ আসছে কেন?’
মমতা এ দিন উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড বা বিহারে রয়েছে অনেক বেআইনি অস্ত্র কারখানা। সেখান থেকে অস্ত্র ঢোকে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ছাড়া গরু পাচারের ক্ষেত্রেও দায় ঠেলেছেন বিএসএফের দিকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গরু সামলায় বিএসএফ, এতে রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই।
অভিযোগের জবাবে বিএসএফের ডিআইজি জানান, ভিন রাজ্য থেকে অস্ত্র এলে তাঁদের কিছু করার নেই। আর বাংলাদেশ থেকে কোনও অস্ত্র এ দেশে আসে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। বরং ভারত থেকে পিস্তল সহ কিছু অস্ত্র বাংলাদেশে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ভিনদেশ থেকে অস্ত্র এলে তা রাজ্য পুলিশ তাঁদের জানায়নি কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন ডিআইজি। আর গরু পাচার বা অন্য যে কোনও পাচার সম্পর্কেও একই মত প্রকাশ করেন বিএসএফের আধিকারিক।
উল্লেখ্য, বিএসএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২২৩৭টি গরু পাচার আটকেছে বিএসএফ। যার মূল্য হতে পারে ২ কোটি ৮২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৮৪ টাকা। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ২৪টি, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ২৮টি। বিএসএফ সূত্রে খবর, এ গুলি সবই ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়ার পথে ধরা পড়েছে। বাংলাদেশ থেকে কখনও কোনও অস্ত্র ভারতে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন : Governor on Mamata Banerjee’s claim: ‘জবাব দিচ্ছে না রাজ্য’, মমতার দাবি উড়িয়ে বার্তা দিলেন ধনখড়