BSF: একা পারছে না, তাই ‘ছোটভাই’ বাংলাদেশকে নিয়ে খেলতে চাইছে পাকিস্তান? সব প্ল্যান ভেস্তে দিতে সীমান্তে বিশাল রণসজ্জা BSF-র
BSF: রাজ্যের কাঁটাতারহীন সীমান্তগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। সুন্দরবনে ভাসমান বর্ডার আউটপোস্টের মাধ্যমে সকাল থেকে রাত, এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দফায় দফায় নজরদারি।

কলকাতা: পশ্চিমে উত্তপ্ত পাকিস্তান সীমান্ত। তখন পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে নজরদারির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ফাঁক যাতে না থাকে, তার জন্য তৎপর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত। পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অসম। এই পাঁচটি রাজ্য বাংলাদেশ সীমান্তকে ভাগ করেছে। এই পাঁচ রাজ্যের সীমান্তে কাঁটাতারহীন এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সীমান্তরেখার নাম র্যাডক্লিফ লাইন। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে মোট ২২১৬ কিমি সীমান্ত। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৬৫৩ কিলোমিটার অংশে ফেন্সিং দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কিন্তু বাকি ৫৫৩ কিলোমিটার অংশই চিন্তায় রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দাদের। ৫৫৩ কিমি অংশের মধ্যে ১১২ কিলোমিটার জলসীমান্ত। বাকি ৪৪১ কিলোমিটার স্থলসীমান্ত হওয়া সত্ত্বেও কাঁটাতার নেই। আর এই অরক্ষিত জায়গা মূলত চিন্তার বিএসএফের কাছে।
রাজ্যের কাঁটাতারহীন সীমান্তগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। সুন্দরবনে ভাসমান বর্ডার আউটপোস্টের মাধ্যমে সকাল থেকে রাত, এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দফায় দফায় নজরদারি। রাতের অন্ধকারে যাতে পরিষ্কারভাবে অনুপ্রবেশকারীদের লক্ষ্য করা যায়, তার জন্য থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা, ফিক্সড বুলেট ক্যামেরা, পিটি জেড ক্যামেরা-সহ অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বাড়তি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে যে অংশগুলি জঙ্গল এবং ছোট ছোট পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত, সেই অংশগুলি দিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের ভূ-খণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করে বলে দেখা গিয়েছে। ফেন্সিংয়ের পাশাপাশি উচ্চমানের এবং শক্তিশালী নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
নদীগুলিতে ছোট ছোট বোটে একই অংশে চলছে বার বার নজরদারি। তবে বিএসএফকে চিন্তায় রেখেছে মেঘালয় এবং মিজোরামের সীমান্তের অংশগুলি। সেখানে স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনের মদত পাচ্ছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি। অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে মেঘালয় এবং মিজোরামের জঙ্গী সংগঠনগুলি সাহায্য করছে বলে একাধিকবার অভিযোগ এসেছে বিএসএফের কাছে।
পাকিস্তানের এখন ‘কাছের বন্ধু’ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় ‘ছোটভাই’ বাংলাদেশের দিক থেকে পাকিস্তান জঙ্গি বা জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত দুষ্কৃতীদের ঢোকানোর চেষ্টা করতে পারে বলে বিএসএফের কাছে রিপোর্ট পৌঁছেছে। এমন অবস্থায় পাঁচটি রাজ্যেরই সীমান্তগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী এবং নজরদারির কাঠামো হিসাবে বাড়তি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দিন-রাত এক করে সীমান্তে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছেন বিএসএ জওয়ানরা।

