
কলকাতা: ভারতের প্রবল চাপ। অবশেষে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউকে ছাড়তে বাধ্য হল পাকিস্তান। ২২ দিনের মাথায় তাঁকে ছাড়ল পাক রেঞ্জার্স। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের আরও বড় কূটনৈতিক জয়।
সীমান্তের ওপারে ভুলবশত চলে গিয়েছিলেন পূর্ণম সাউ। ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানের রেঞ্জার্সের কাস্টডিতে ছিলেন। বুধবার বেলা সাড়ে দশটায় আর্টারি সীমান্ত দিয়ে অমৃতসরে ভারতের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল পাকিস্তান। আইজি বিএসএফ পঞ্জাব ফ্রন্ট্রেটিয়র জানালেন, আর্টারি সীমান্তে বুধবার সকালে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। তারপর পাকিস্তানের পূর্ণম সাউকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন পূর্ণম। তবে তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত।
নিয়ম রয়েছে, পাকিস্তান রেঞ্জার্সই হোক, কিংবা বিএসএফ জওয়ান, কেউ যদি ভুলবশত কাঁটাতারের ওপারে চলে যান, তাহলে ফ্ল্যাগ মিটিং করে তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু পূর্ণমকে ২২ দিন ধরে আটকে রেখেছিল পাকিস্তান। বিএসএফ পঞ্জাব ফ্রন্ট্রেটিয়র জানিয়েছেন, এদিনের ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে এটাও পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কতটা ভুল করেছে। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, বিএসএফ এরপর আরে রেয়াত করবে না। কোনও ফ্ল্যাগ মিটিংও করবে না।
গত ২৩ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরপরই পাঠানকোটে ডিউটিরত বিএসএফের কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাউকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স। সীমান্তে ডিউটি করার সময় শরীর খারাপ লাগায় একটি গাছের ছায়ায় বসেছিলেন তিনি। বুঝতে পারেনি পাকিস্তানের মাটিতে চলে গিয়েছেন। তাঁকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।
অপারেশন সিঁদুরে রীতিমতো পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি। কেবল অস্ত্রে নয়, ভারতের কূটনৈতিক চালেও পাকিস্তান বিধ্বস্ত। প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ পূর্ণমকে ছাড়তে বাধ্য হল পাকিস্তান।