কলকাতা: বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ঝলসে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এবার পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের। বর্ধমানে (Burdwan) যাচ্ছে দফতরের একটি দল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই দল ঘুরে এসে সেই রিপোর্ট জমা দেবে। শনিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্যসচিব জানান, প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিটের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। একটি মাত্র শয্যায় আগুন কীভাবে লাগল তা খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক তদন্ত করা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে একটি দল বর্ধমানে যাবে। এদিকে বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জের। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ জারি করা হল। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। বর্ধমানের ঘটনার পরে সবক’টি হাসপাতালকে আরও এক দফায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কোথাও কোনও গণ্ডগোল থাকলে দ্রুত তা ঠিক করে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার ভোরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ব্লকে এই ঘটনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা মণ্ডল নামে বছর ষাটের ওই মহিলা গলসির বাসিন্দা ছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর সেনগুপ্তের বক্তব্য অনুযায়ী, “কোভিড জেনারেল ওয়ার্ডে সাড়ে তিনটের সময়ে সার্জারির চিকিৎসকরা গিয়ে সন্ধ্যা মণ্ডলকে দেখে আসেন। তারপর পাঁচটা নাগাদ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় সন্ধ্যা মণ্ডলের বেডটাই দাউ দাউ করে জ্বলছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া তো আর কোনও কিছু ছিল না ওখানে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এইখানেই খটকা লেগেছে স্বাস্থ্যদফতরের। কীভাবে একটা ওয়ার্ডে একটিমাত্র বেডেই আগুন লেগে গেল। একজন রোগী কীভাবে ঝলসে গেলেন তা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যসচিব। সেইমতো নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক তদন্ত করা হবে। শর্টসার্কিটের জেরে এই আগুন বলে, এখনই মেনে নিতে পারছে না স্বাস্থ্যদফতর। যদিও বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে শোনা গিয়েছে, মশা মারার ধূপ থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে।
এখানেও প্রশ্ন উঠছে, সেই সময় নার্স কিংবা সিস্টাররা কোথায় ছিলেন। একটি ওয়ার্ডে একজনও স্বাস্থ্যকর্মী কি ছিলেন না? যদি না থাকেন কেন ছিলেন না সেটা প্রশ্ন। আর যদি থেকে থাকেন তা হলে দাউ দাউ করে একটা বেড জ্বলতে শুরু করল কেউ আঁচটুকু পেলেন না? অনেকেই বলছেন, শীতের ভোরে কেউ টের পাননি। কিন্তু আগুনের তাপ তো শীত-গ্রীষ্ম যে কোনও মরসুমেই অনুভূত হওয়ার কথা। বিশেষ করে একটা বেড জ্বলছে যেখানে, সেখানে আগুনের শিখা নেহাত কম ছিল এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলেই বিভিন্ন মহলের দাবি। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “এক মহিলা ভোরের দিকে ছুটতে ছুটতে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আগুন আগুন করে চিৎকার করতে শুরু করেন। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি এক ভদ্রলোক আগুন নেভাচ্ছেন। কিন্তু ততক্ষণে একটা মশারি থেকে আরেকটা মশারি জ্বলছে। জানতে চাইলাম রোগী বেঁচে আছে তো? বলল একজন মারা গিয়েছেন।”
অন্যদিকে নিহত সন্ধ্যাদেবীর আত্মীয় রাণু মণ্ডল বলেন, “একজন ভিতর থেকে আগুন লেগেছে বলে ছুটে আসায় জানলাম। দেখি ধোঁয়া। ঢুকতেই দিচ্ছে না, বের করে দিচ্ছে। পরে জানলাম মারা গিয়েছেন।” যদিও দমকল আধিকারিক দীপক সেন বলেছেন, “এসে দেখি আগুন কিছু নেই। অগ্নিনির্বাপণ মেশিন দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। একটাই বেডে আগুন লেগেছে শুধু। মনে হচ্ছে লাইটার বা মশার ধূপ জাতীয় কিছু থেকে আগুন লেগেছে।”
কলকাতা: বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ঝলসে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এবার পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের। বর্ধমানে (Burdwan) যাচ্ছে দফতরের একটি দল। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই দল ঘুরে এসে সেই রিপোর্ট জমা দেবে। শনিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্বাস্থ্যসচিব জানান, প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিটের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। একটি মাত্র শয্যায় আগুন কীভাবে লাগল তা খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক তদন্ত করা হচ্ছে। রাজ্যের তরফে একটি দল বর্ধমানে যাবে। এদিকে বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জের। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ জারি করা হল। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। বর্ধমানের ঘটনার পরে সবক’টি হাসপাতালকে আরও এক দফায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কোথাও কোনও গণ্ডগোল থাকলে দ্রুত তা ঠিক করে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার ভোরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ব্লকে এই ঘটনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা মণ্ডল নামে বছর ষাটের ওই মহিলা গলসির বাসিন্দা ছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর সেনগুপ্তের বক্তব্য অনুযায়ী, “কোভিড জেনারেল ওয়ার্ডে সাড়ে তিনটের সময়ে সার্জারির চিকিৎসকরা গিয়ে সন্ধ্যা মণ্ডলকে দেখে আসেন। তারপর পাঁচটা নাগাদ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় সন্ধ্যা মণ্ডলের বেডটাই দাউ দাউ করে জ্বলছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া তো আর কোনও কিছু ছিল না ওখানে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এইখানেই খটকা লেগেছে স্বাস্থ্যদফতরের। কীভাবে একটা ওয়ার্ডে একটিমাত্র বেডেই আগুন লেগে গেল। একজন রোগী কীভাবে ঝলসে গেলেন তা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যসচিব। সেইমতো নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক তদন্ত করা হবে। শর্টসার্কিটের জেরে এই আগুন বলে, এখনই মেনে নিতে পারছে না স্বাস্থ্যদফতর। যদিও বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে শোনা গিয়েছে, মশা মারার ধূপ থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে।
এখানেও প্রশ্ন উঠছে, সেই সময় নার্স কিংবা সিস্টাররা কোথায় ছিলেন। একটি ওয়ার্ডে একজনও স্বাস্থ্যকর্মী কি ছিলেন না? যদি না থাকেন কেন ছিলেন না সেটা প্রশ্ন। আর যদি থেকে থাকেন তা হলে দাউ দাউ করে একটা বেড জ্বলতে শুরু করল কেউ আঁচটুকু পেলেন না? অনেকেই বলছেন, শীতের ভোরে কেউ টের পাননি। কিন্তু আগুনের তাপ তো শীত-গ্রীষ্ম যে কোনও মরসুমেই অনুভূত হওয়ার কথা। বিশেষ করে একটা বেড জ্বলছে যেখানে, সেখানে আগুনের শিখা নেহাত কম ছিল এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলেই বিভিন্ন মহলের দাবি। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “এক মহিলা ভোরের দিকে ছুটতে ছুটতে বাইরে বেরিয়ে আসেন। আগুন আগুন করে চিৎকার করতে শুরু করেন। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি এক ভদ্রলোক আগুন নেভাচ্ছেন। কিন্তু ততক্ষণে একটা মশারি থেকে আরেকটা মশারি জ্বলছে। জানতে চাইলাম রোগী বেঁচে আছে তো? বলল একজন মারা গিয়েছেন।”
অন্যদিকে নিহত সন্ধ্যাদেবীর আত্মীয় রাণু মণ্ডল বলেন, “একজন ভিতর থেকে আগুন লেগেছে বলে ছুটে আসায় জানলাম। দেখি ধোঁয়া। ঢুকতেই দিচ্ছে না, বের করে দিচ্ছে। পরে জানলাম মারা গিয়েছেন।” যদিও দমকল আধিকারিক দীপক সেন বলেছেন, “এসে দেখি আগুন কিছু নেই। অগ্নিনির্বাপণ মেশিন দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। একটাই বেডে আগুন লেগেছে শুধু। মনে হচ্ছে লাইটার বা মশার ধূপ জাতীয় কিছু থেকে আগুন লেগেছে।”