কলকাতা: দেশের মধ্যে প্রথম জলের নিচ দিয়ে ছুটছে মেট্রো। তাও আবার কলকাতাতে। কিছুদিন আগেই মহাসমারোহে চালু হয়ে গিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। তবে এবার শুধু আর মেট্রো নয়, চলবে অন্যান্য যানবাহনও। শুনতে অবাক লাগলেও সেই কাজের সলতে পাকানো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সোজা কথায় কলকাতার রাস্তায় যানবাহনের চাপ কমাতে এবার গঙ্গার নিয়ে বিকল্প পথ থোঁজা হচ্ছে। বিশালাকার টানেল তৈরি করতে চাইছে সরকার। সূত্রের খবর, এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিবহণ দফতর, কলকাতা পৌরসভা, কলকাতা পুলিশের সহযোগিতা চাইছে কেন্দ্র। কথা বলা হয়েছে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে।
সূত্রের খবর, সালকিয়া থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত হবে এই সুড়ঙ্গ পথ। যেখান দিয়ে মূলত ভারী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে পার করানো হবে বলে খবর। কীভাবে, কোন প্রক্রিয়া, কোন ছকে তৈরি হবে এই টানেল তার কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে খবর। চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সূত্রের খবর, ২০৩০ সালের মধ্যেই কাজ শেষের লক্ষ মাত্রা নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তাহলে আর মাত্র বছর পাঁচেকের মধ্যে হাওড়া ও কলকাতার বড় অংশে ট্র্যাফিকের চাপ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাঁতরাগাছি, হুগলি ব্রিজ হয়ে ট্র্যাফিকের চাপ সামলে কলকাতা ঢুকতে যেখানে এক থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যেত তা এবার কমে ১৫ থেকে ২০ মিনিটে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাপ কমবে দিল্লি রোড থেকে শুরু করে ডানকুনি-কলকাতাগামী রাস্তাতেও। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বড় পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে টানেলে পাঠিয়ে দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে খিদিরপুর, ধর্মতলা-সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ ট্র্যাফিকের চাপ এখন থেকে কার্যত অর্ধেক হয়ে যেতে পারে। গতি বাড়বে গাড়ির। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হতে পারে বলে খবর। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গোটা রাস্তার কাজ চলবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট ট্রাস্টের তরফে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে সমুদ্রের তলা তৈরি হয়েছে এই ধরনের টানেল। চলতি বছরেই যার দরজা খুলেছে জনসাধারণের জন্য।