C V Ananda Bose: বাংলা কোনও ভাষা নয়! মালব্যর দাবি শুনে রবীন্দ্রনাথের ‘গান’ ধরলেন রাজ্যপাল

C V Ananda Bose: এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলির সামগ্রিক প্রভাব পড়বে না রাজ্যপালের 'বাঙালি মননে'? হয় তো পড়বে। তাই তো শুক্রবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকের সময় 'বাংলা কোনও ভাষা নয়' অমিত মালব্যর এই দাবি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হতেই তিনি গেয়ে উঠলেন রবি ঠাকুরের গান।

C V Ananda Bose: বাংলা কোনও ভাষা নয়! মালব্যর দাবি শুনে রবীন্দ্রনাথের গান ধরলেন রাজ্যপাল
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Aug 08, 2025 | 3:59 PM

কলকাতা: ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল…’, রাজ্যপালের মুখে রবি ঠাকুরের গান। এটা প্রথম নয়। এর আগে বাংলা শেখার জন্য সরস্বতী পুজোর দিনে হাতেখড়ি দিয়েছেন তিনি। কেউ কেউ বলেন, এই রাজ্যপাল অনেকটাই ‘বাংলা-ঘেঁষা’। তবে বাংলার সম্পর্কে যে তার নাড়ির টান নেই। রয়েছে ‘আত্মীক টান’। আর সেই টানেই তো তাঁর নামের পিছনে আজও জুড়ে রয়েছে নেতাজির পদবি, ‘বোস’।

কিন্তু আজ যখন বাংলা-বাঙালি ও জাতি অস্মিতা নিয়ে এত বিতর্ক। ভিন রাজ্য়ে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের। পেতে হচ্ছে বাংলাদেশি তকমা। সেই সময় কি এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলির সামগ্রিক প্রভাব পড়বে না রাজ্যপালের ‘বাঙালি মননে’? হয় তো পড়বে। তাই তো শুক্রবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকের সময় ‘বাংলা কোনও ভাষা নয়’ অমিত মালব্যর এই দাবি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হতেই তিনি গেয়ে উঠলেন রবি ঠাকুরের গান।

প্রথমে তিনি গোটা ব্যাপারটাকে ‘রাজনৈতিক’ বললেও পরক্ষণেই বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে বলে ওঠেন, “বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুণ্য হোক, পুণ্য হোক, পুণ্য হোক, হে ভগবান।” এই গান কিন্তু ‘প্রতিবাদের’। পাশাপাশি, ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। তাঁর কথায়, “এটি এমন একটি ঘটনা যার জাতীয় স্তরে দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়োজন। গণতন্ত্রে গ্রহণযোগ্যভাবে এর সমাধান প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রেও ন্যায়বিচার হবে।”

বাংলা-বাঙালি ইস্যুর পাশাপাশি রাজ্যপাল মুখ খোলেন SIR ইস্যুতেও। শুক্রবার তাঁকে যখন বাংলায় কমিশনের বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। তার ক্ষণিক আগেই নবান্ন থেকে কমিশনের সিইও দফতরে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা এখনও SIR-এর জন্য প্রস্তুত নয়। এদিন রাজ্যপালকেও এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সহমত গঠনের কথা’। তাঁর কথায়, “এক্ষেত্রে ভিন্ন মত থাকতেই পারে। আমার মনে হয়, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সহমত গঠন প্রয়োজন। যাতে দেশের মানুষ সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক নির্বাচন পেতে পারে। আমার ধারণা এটা কমিশনের নিয়মমাফিক কাজের মধ্যে পড়ে।” শুধুই SIR নয়। বাংলার ERO সাসপেনশনেও রাজ্যপাল বলেছেন ‘সহমতের ভিত্তিতে সমাধানের’ কথা।

সঙ্গে কোচবিহারে হওয়া শুভেন্দু অধিকারির গাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজ্যের কাছে চেয়েছেন রিপোর্ট ও তড়িঘড়ি পদক্ষেপ।