Calcutta High Court: খানাকুলের শিশুকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস!

২০১৮ সালের হুগলির খানাকুলে চার বছরের এক শিশুকন্যার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ি পড়ে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তিনজনের। অভিযোগ ওঠে এক তান্ত্রিক ওই শিশুটিকে ধর্ষণ ও খুন করে। সেই ঘটনায় তাকে সাহায্য করে তার স্ত্রী। আর নাবালিকার ঠাকুমা শিশুটিকে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়।

Calcutta High Court: খানাকুলের শিশুকে ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস!
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 28, 2025 | 4:30 PM

কলকাতা: প্রায় সাত বছর আগে হুগলির খানাকুলে এক নাবালিকাকে তন্ত্রসাধনার  নামে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের সব রায়কে পাল্টে দুই দোষী সাব্যস্তকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ অভিযুক্তদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়।

২০১৮ সালের হুগলির খানাকুলে চার বছরের এক শিশুকন্যার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তিনজনের। অভিযোগ ওঠে এক তান্ত্রিক ওই শিশুটিকে ধর্ষণ ও খুন করে। সেই ঘটনায় তাকে সাহায্য করে তার স্ত্রী। আর নাবালিকার দিদিমা শিশুটিকে তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করে। আদালত তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তান্ত্রিককে খুন ও ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় কোর্ট। পরবর্তীতে মৃত্যু হয় তার। বাকি দু’জনের মধ্যে তান্ত্রিকের স্ত্রীকেও ফাঁসির সাজা দেয় আরামবাগ মহকুমা আদালত। মৃতের দিদিমাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্টে যায় সাজাপ্রাপ্ত দু’জন।

মামলার শুনানি ছিল গতকাল অর্থাৎ বুধবার। অভিযুক্তের আইনজীবী নিলাদ্রী শেখর ঘোষ যুক্তি দেন, একজন মহিলার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না।নিম্ন আদালত শুধু পারিপার্শিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা করেছিল। এরপর আদালতে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই তদন্তে পুলিশের যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে, অভিযোগ প্রমাণই করতে পারেনি তারা। এরপরই কোর্ট অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেয়।