কলকাতা: রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে এখনও চলে জটিলতা। পূজা করার অনুমতি মেলেনি। জেলাশাসকও পুজো বন্ধ করতে বলেছেন। ফলে গ্রামবাসীরা হতাশ। গিনেশ বুকে নাম উঠবে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন এলাকার মানুষ। সবাই প্যান্ডেল বা মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। মূর্তি তৈরিও হয়ে গিয়েছে অনেকটা। এরই মধ্যে পুজো বন্ধ করার নির্দেশ আসায় হতাশ সবাই। এবার সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সোমবার এই পুজো সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জেলাশাসককে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেন। ১২ ফুটের সরু রাস্তা দিয়ে দর্শক ঢুকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে, এই কারণ দেখিয়েই পুজোর অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে না ঢুকে দূর থেকে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটা বিবেচনা করার কথা বলেছেন বিচারপতি। ক্লাবকে ওই ব্যবস্থা করার কথা বলেন বিচারপতি।
আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই নদিয়ার জেলাশাসককে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল আদালত।
রানাঘাট শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে কামালপুরে এই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। পুজোর মূল আয়োজক কামালপুর অভিযান সঙ্ঘ হলেও এবার ভলান্টিয়ার হিসাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রায় ২৫টি ক্লাব। ওই ক্লাবের পুজো এবার ৫৫ বছরে পা রাখছে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে একত্রিত হয়েছে পাশাপাশি প্রায় ২০টি গ্রাম। ইউনেস্কো ও গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড থেকে প্রতিনিধি আসার কথা। তবে আদালতে মামলা হওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রশ্ন তোলেন, ১১২ ফুট কেউ প্রতিমা করবে, তাতে কেউ স্ট্যাম্পেড হয়ে গেলে দায়িত্ব কে নেবে? এরপর জেলাশাসককে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। জেলাশাসক নাকচ করে দেন।