Calcutta High Court: ‘কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে…’, রাজ্যকে ফের বার্তা দিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

Metro: চিংড়িহাটায় যে দুটি পিলারের মাঝে ৩৬৬ মিটার জুড়তে সিমেন্টের স্ল্য়াব বসানো বাকি। যানজট এড়াতে কলকাতা পুলিশ যে বিকল্প রাস্তা চেয়েছিল, তা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারপর রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে এনওসি নিয়ে, কিন্তু ১০ মাস পরও সেই এনওসি মেলেনি।

Calcutta High Court: কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে..., রাজ্যকে ফের বার্তা দিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 11, 2025 | 6:14 PM

কলকাতা: কলকাতা মেট্রো নিয়ে জট কোনওভাবেই কাটছে না। রাজ্য সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী সংসদেও এই অভিযোগ নিয়ো আলোচনা হয়েছে। আর এবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বার্তা দেওয়া হল রাজ্য সরকারকে। চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটার না জোড়ায় অরেঞ্জ লাইনের ওই অংশের মেট্রো পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। রাস্তা বন্ধ করে কাজ হলে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হবে, বারবার এমন যুক্তিই দিয়েছে রাজ্য।

বৃহস্পতিবার মামলাটি উঠলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল মেট্রো মামলায় রাজ্যকে বলেন, “কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে, তাহলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না। খোলা মনে আলোচনায় বসুন, সমাধান সূত্র বেরোবে।” রাজ্যের বক্তব্য, সাবওয়ের কাজ না হলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। এ কথা শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, “কোনও না কোনওদিন তো কাজ করতে হবে, সেদিন তো যান নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।”

বুধবার, কেন্দ্র, রাজ্য এবং আরভিএনএল(RVNL) আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে কেন্দ্র আরভিএনএল-কে বলেছে যে রাজ্য যা চাইছে, সেটা আগে করতে হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে এ কথা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। আবার বৈঠক হলে তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছন এজি কিশোর দত্ত। তবে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি এখনও। ফলে থমকেই আছে মেট্রোর কাজ।

সম্প্রতি মেট্রোর কাজ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। লোকসভায় তিনি বলেছেন যে আটকে থাকা মেট্রোর কাজ নিয়ে জট কাটাতে রাজ্য সরকারকেই পদক্ষেপ করতে হবে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি রাজ্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়, তাহলে রাতে আট ঘণ্টা করে কাজ করলে মাত্র তিন দিনেই কাজ শেষ করা সম্ভব চিংড়িহাটায়।