দেশের মধ্যে ১৭ নম্বরে কলকাতা হাইকোর্ট, ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট’-এ উঠে এল তথ্য

High Court: টাটা ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে শুরু হয় 'ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট' নামে এই সমীক্ষা। শুরু থেকেই পুলিশ, জেল, বিচার বিভাগ এবং আইনি সহায়তার দিকগুলি বিচার করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

দেশের মধ্যে ১৭ নম্বরে কলকাতা হাইকোর্ট, ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট-এ উঠে এল তথ্য
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 19, 2025 | 1:18 PM

কলকাতা: সাম্প্রতিককালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষত দুর্নীতি ইস্যুতে একের পর এক রায় সামনে এসেছে। তবে মামলার দীর্ঘসূত্রিতার নিরিখে গোটা দেশের সব হাইকোর্টের মধ্যে পিছিয়ে পড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮টি হাইকোর্টের মধ্যে দেশের সবথেকে পুরনো এই আদালত জায়গা পেয়েছে ১৭ নম্বরে। সম্প্রতি টাটা ট্রাস্টের উদ্যোগে তৈরি ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট ২০২৫’ প্রকাশ পেয়েছে। সেই সমীক্ষাতেই উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টকে এই জায়গা দেওয়া হয়েছে।

শুধু বিচার ব্যবস্থার নিরিখেই নয়, পুলিশ, জেল, আইনি সহায়তা ও বিচার ব্যবস্থা- এই চারটি ক্ষেত্রের নিরিখে দেশে সব রাজ্যের শেষে ঠাঁই পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম পাঁচে জায়গা পেয়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি। চারটি মাপকাঠিতে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কর্নাটক।

টাটা ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে শুরু হয় ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট’ নামে এই সমীক্ষা। শুরু থেকেই পুলিশ, জেল, বিচার বিভাগ এবং আইনি সহায়তার দিকগুলি বিচার করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

২০২৫ সালের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে সবকটি বিষয়ে ভাল ‘মার্কস’ পেয়ে প্রথম পাঁচে জায়গা পেয়েছে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গনা, কেরল এবং তামিলনাড়ু। কর্নাটকের স্কোর যেখানে ৬.৭৮, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্তি মাত্র ৩.৬৩। পশ্চিবঙ্গের ঠিক উপরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড।

‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট’ অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বিচার বিভাগে সবথেকে বেশি উন্নতি করেছে রাজস্থান, কেরল এবং মধ্যপ্রদেশ। জেল পরিচালনার মাপকাঠিতে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড ভাল কাজ করেছে।

সার্বিকভাবে রাজ্যে লিগাল এড সার্ভিস থাকলেও সাধারণ মানুষ তা থেকে কতটা উপকৃত হচ্ছে, সেটা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। এ রাজ্যে হাইকোর্টের শূন্যপদে নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এই প্রসঙ্গে বলেন, “কর্মীদের নিয়ে মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। রাজ্যের দায়িত্ব এই শূন্যপদ পূরণ করা।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, হাইকোর্টের বারের থেকে নিয়োগ হচ্ছে না, সেটা করাতে হবে। আইনজীবীর মতে, বাইরে থেকে কোনও বিচারপতি এলে, কোর্টের কাজ বুঝতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়।