
কলকাতা: বিকাশ ভবন সংলগ্ন এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ এলাকার এক বাসিন্দা। আবেদনকারীর বক্তব্য, প্রতিদিন নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়ছে। এই বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসের দ্বারস্থ এক ব্যক্তি। মামলা দায়েরের অনুমতি হয়েছে, তবে দ্রুত শুনানিতে সায় দেয়নি আদালত।
এই মামলার ক্ষেত্রের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কলকাতা হাইকোর্টে ৭০০ জনস্বার্থ মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যার ৮০ শতাংশের সঙ্গেই কোনও জনস্বার্থ জড়িত নেই। বহু মামলাই প্রচারকেন্দ্রীক মামলা।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিকাশভবন অভিযান ছিল। সকালে তাঁরা পুলিশি বাধা টপকে ব্যারিকেড ভেঙে, কার্যত বিকাশভবনের সামনের গেটে ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিকাশভবনের ভিতরেই অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিলেন তাঁরা। ভিতরে ছিলেন বিকাশভবনের কর্মীরা। রাতে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে চাকরিহারাদের তুলে দেয়। একাধিক চাকরিহারা আক্রান্ত হন। লাঠি আঘাতে চাকরিহারাদের হাতও ভেঙে যায়। সেই ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়, পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করেছে। এবার চাকরিহারাদেরই তলব করেছে পুলিশ। এবার এই পরিস্থিতিতে বিকাশভবনের বাইরে করুণাময়ীতে রাস্তার ওপর অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা।