
কলকাতা: বনগাঁ আদালতে বিচারক সোমা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সাত আইনজীবীকে দোষী সাব্যস্ত করল। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ নয়। জানিয়ে দিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পরবর্তীকালে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে তখন এই মামলার সঙ্গে ওই নতুন মামলাটিকে সংযুক্ত করে এই সাত জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাইকোর্টের প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিল মাসে বনগাঁ আদালতে ভরা এজলাসের মধ্যে আইনজীবীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। বিষয়টির সূত্রপাত একটি ল ক্লার্কের মৃত্যু নিয়ে। তার মৃত্যুতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন ল ক্লার্ক ও আইনজীবীরা। কিন্তু ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টে মামলা চালিয়েছিলেন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। আইনজীবী পায়েল রায় আদালতে মামলা চালাচ্ছিলেন। সে খবর জানা মাত্রই এজলাস কক্ষে ঢুকে আইনজীবীদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৪০ বছর ধরে যৌথ বারের রেজোলিউশন কপি আদালতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন মামলা চলবে? এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিচারকের। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিচারক সোমা চক্রবর্তী। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে।