Calcutta High Court: পশ্চিমবঙ্গের CAA আবেদনকারীদের জন্য বড় স্বস্তি, মাত্র ১০ দিনেই মিলবে সমাধান

CAA-SIR in Bengal: সিএএ অনুসারে যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন, তাঁদের সেই আবেদন যাতে এসআইআর-এ গণ্য করা হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছিল এক এনজিও-র তরফে। আজ, সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি।

Calcutta High Court: পশ্চিমবঙ্গের CAA আবেদনকারীদের জন্য বড় স্বস্তি, মাত্র ১০ দিনেই মিলবে সমাধান
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 10, 2025 | 2:34 PM

কলকাতা: এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যেই সিএএ নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে সেই সিদ্ধান্ত জানাল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে সব মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদন ১০ দিনের মধ্যে বিবেচনা করা হলে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

সিএএ অনুসারে যাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন, তাঁদের সেই আবেদন যাতে এসআইআর-এ গণ্য করা হয়, সেই আবেদন জানানো হয়েছিল এক এনজিও-র তরফে। আবেদন করার পর মাসখানেক কেটে গেলেও অনেকে এখনও উত্তর পাননি। ফলে, এসআইআর শুরু হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। আজ, সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি।

দেশ জুড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে শুধু রাজ্যের যাঁরা রয়েছেন, তাদের আবেদন ১০ দিনের মধ্যে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে যারা বেআইনিভাবে এসেছে, তাদের চিহ্নিত করা যাবে সিএএ-তে। ১০ দিনের মধ্যেই এটা বিবেচনা করা হবে। যারা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য। তবে দেশের অন্যত্র যেখানে এই ধরনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে, সেই আবেদনকারীদের জন্য যে এটা প্রযোজ্য নয়, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

রাজ্যের তরফে এদিন বলা হয়, এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই। কমিশন যাবতীয় কাজ করছে বলে উল্লেখ করেছে রাজ্য। অন্যদিকে, কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যকে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন পাঠাতে হয় কেন্দ্রের কাছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। কেন্দ্রের তরফে এএসজি আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্য আমাদের কাছে কিছু পাঠায়নি।”

এদিকে, মামলাকারীর আইনজীবী মৈনাক বসু বলেন, জনস্বার্থ মামলায় সকলের কথা বলা হয়েছে। দেশ জুড়ে প্রায় ৫০ হাজার আবেদন পাঠানো হয়েছে। যে আবেদনগুলি পড়ে আছে সেগুলির ভবিষ্যৎ কী, তা জানতে চান তিনি। আইনজীবীর দাবি, কেন্দ্র বিবেচনা করে হয় অনুমতি দিক, না হয় বাতিল করুক। অন্তত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। তিনি উল্লেখ করেন, এসআইআরের এনুমারেশন ফর্মে এদের জন্য কোনও অপশন রাখাই হয়নি।

এখন প্রশ্ন হল, যাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন, তাঁদের জন্য কি এসআইআর-এ নতুন কোনও ফর্ম দেওয়া হবে? নাকি যে ফর্ম আছে, তার সঙ্গে কোনও নথি দিয়ে জমা করতে হবে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন আবেদনকারীরা।