কলকাতা: ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার’ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের। দিনহাটা পুরসভা ও তার চেয়ারম্যানকে শোকজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগ উঠছিল, কোচবিহারের দিনহাটা পুরসভা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ির টাকা পাওয়া উপভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা তুলেছে উন্নয়নমূলক কাজের নামে। প্রাথমিকভাবে সেটা বেআইনি মনে করছেন প্রধান বিচারপতি।
মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, আবাস যোজনার টাকা যাঁরা পাবেন, তাঁদের কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা চাইছে দিনহাটা পুরসভা। উন্নয়নের নামে তাঁরা এই টাকা চাইছে বলে অভিযোগ। যারা সে টাকা দিতে পারেননি, তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তালিকা থেকে। আবার যাঁরা টাকা দিয়েছে, তিনবছরেও কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে সেটাও দেওয়া হয়নি বলে দাবি মামলাকারীর।
এ দিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ওই স্কিমের সুবিধা যাঁরা পান তারা দরিদ্র। টাকা না দিতে পারায় এভাবে নাম বাদ দেওয়ায় সরাসরি প্রভাব পড়বে ওই স্কিমে। ২০২২ সালে অডিট হয়। অ্যাকাউন্টটেন্ট জেনারেল বলেছেন, ওই টাকা সংগ্রহ বেআইনি। ৪৩৯.৪২ লাখ টাকা জমা রেখেছে পুরসভা।
এজলাসে পুরসভার যুক্তি, অধিকাংশ পুরসভার ফান্ড নেই। তাই ওই টাকা চাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী রাস্তা, খাল ইত্যাদি বানানোর জন্য। এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, “কিন্তু অডিট রিপোর্টে উল্লেখ, এভাবে টাকা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। একই সঙ্গে আদালতে কেন্দ্র বলে, “আবাস যোজনার টাকা রাস্তায় পরিবর্তীত হবে কীভাবে?”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “পুরসভাকে শোকজ। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? কেন তাকে ওই পদ থেকে সরানো হবে না? উত্তর দিতে হবে।” মামলাকারী জানান, “১৮৭ জন বাদ পড়েছেন। একজন তপশিলি জাতির মানুষ সুবিধা পাননি। তিন বছরেও টাকা ফেরত আসেনি। অডিট করে ২০২২ সালে ৪৩৯.৪২ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।”