
কলকাতা: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আট জনের মৃত্যু। তাতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় রিপোর্ট তলব ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রিপোর্ট চাইল রাজ্য, পুরসভা ও CESC-এর কাছে। ক্ষতিপূরণ ও ক্যানেল সংস্কারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাবে রাজ্য। পাশাপাশি রিপোর্ট দিতে হবে পুরসভা ও সিইএসসি-কেও। ৭ নভেম্বর রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই মামলার শুনানি।
মঙ্গলবার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর কলকাতায়, শেষ কবে এরকম দুর্যোগ দেখেছে শহরবাসী, তা স্মৃতি হাতড়ে মনে করা যাবে না। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর-শহরতলিতে। গোটা শহর যেন জলের তলায়। আর সেই জমা জলে ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার। নেতাজিনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাইকেল আরোহীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাস্তার ধারে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু।
কালিকাপুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাছাড়া বালিগঞ্জ প্লেস, বেনিয়াপুকুরেও ঘটে যায় একইরকম মর্মান্তিক ঘটনা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায়, দেহ উদ্ধার করতে গিয়েই সমস্যা পড়তে হয় জমা জলের কারণে।
উৎসবের শহরে জমা জলে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ইকবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত জিতেন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে মেয়র। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন বাড়ির লোকের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। পাশাপাশি জিতেন্দ্র সিংয়ের দুই ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব এবং তাঁদের চাকরির দায়িত্বও নিলেন। এছাড়াও যে কোনও বিপদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তিনি এই পরিবারের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।