Calcutta High Court: ‘এমন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, আমরা দুঃখিত’, নিয়োগ মামলায় সিবিআই-এর ওপর ক্ষুব্ধ বিচারপতি
Recruitment Scam: দুই মামলার যোগ নিয়ে সিবিআই-এর আইনজীবীদের বারবার প্রশ্ন করেও সঠিক উত্তর পাননি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এর আগেও নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের মামলায় সিবিআই-এর ওপর বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মামলার সঙ্গে কল্যাণময়ের মামলার কী যোগ আছে? আদৌ কোনও যোগ আছে কি না, সে বিষয়ে উত্তর দিতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয় সিবিআই। এরপরই বিরক্ত হন বিচারপতি। আপাতত সেই জামিন মামলা পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী ৪ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে সুবীরেশের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। আর বৃহস্পতিবারের মামলায় আর্জি ছিল, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হোক। দুই মামলার যোগ নিয়ে সিবিআই-এর আইনজীবীদের বারবার প্রশ্ন করেও সঠিক উত্তর পাননি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনাদের তদন্তকারী অফিসার কোথায়? এই মামলায় এই ব্যক্তির নির্দিষ্ট ভূমিকা কী? উল্লেখ্য, সুবীরেশ ছিলেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান আর কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। নিয়োগের নিয়ম হল, এসএসসি প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে ও প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিন বিচারপতির মূল প্রশ্ন ছিল, কমিশন যদি সুপারিশ করে, তাহলে পর্ষদের কি করার আছে?
সদুত্তর না পেয়ে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা একটু নিজেরা আগে বুঝুন। আমরা খুব দুঃখিত, এমন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে। আপনাদের আইও-র সঙ্গে বসুন দয়া করে।’ পরে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের কথা শুনে বিচারপতি বুঝতে পারেন দুটো একই বিষয়, আলাদা নয়। এরপর এই মামলা মুলতুবি হয়ে যায়। আপাতত জামিন পাচ্ছেন না কল্যাণময়। এর আগে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘সিট’ বদলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।