Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় পরিকাঠামোর জন্য জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ কেন্দ্রের নতুন আইন মেনেই: হাইকোর্ট

Land Requisition: বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে যত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে ২০১৩ সালের নতুন আইন অনুযায়ী।

Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় পরিকাঠামোর জন্য জমি নিলে, ক্ষতিপূরণ কেন্দ্রের নতুন আইন মেনেই: হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 10:01 PM

কলকাতা: রেল বা জাতীয় সড়কের মতো কোনও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ হলে, যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রের নতুন আইন মেনেই। এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে। মামলায় তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে যত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলির জন্য ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে ২০১৩ সালের নতুন আইন অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের আগে অধিগৃহীত হওয়া কোনও জমির দাম মেটানো না হয়ে থাকলে, সেগুলিও একই আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও আপত্তি করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গার হিসাবী ও মুর্শিদাবাদের আঁধারমানিক ও বাসুদেবখালি মৌজার অধিগৃহীত জমির মালিকরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাতীয় সড়কের জন্য অধিগৃহীত ওই জমির জন্য তাঁদের নতুন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এমনকী জমির যে দাম দেওয়া হয়েছে, সেই নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আরবিট্রেশনের জন্যও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ মামলাকারী জমিদাতাদের।

মামলার শুনানিতে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, ওই জমিদাতাদের ডেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের আপত্তির কথা শুনে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক জমিদাতার সঙ্গে কথা বলে, প্রত্যেকে সমস্যা যাতে আলাদা আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। কেবলমাত্র কয়েকজনকে নমুনা হিসেবে নিয়ে, তাঁদের সমস্যার ভিত্তিতে দেওয়া নির্দেশে বাকিদের ক্ষেত্রে কার্যকর করা যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে জানান, আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা সরকার মেনে নেবে। অন্যদিকে জমিদাতাদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও রাজ্য যেহেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি করেনি, তাই এখানে তার সবক’টি ধারা ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। যা নিয়ে জটিলতা দীর্ঘ দিনের। কিন্তু হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নতুন আইনের সব ধারা মেনেই ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার হিসেবে চিহ্নিত হলেন।” বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এই নির্দেশ আগামীতে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা জমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণ নিয়ে জটিলতা কাটার ক্ষেত্রে একটি দিশা বলে মনে করছেন আইনজীবী মহল।