Darivit School Firing: দাড়িভিট স্কুলে গুলিকাণ্ডে NIA, হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের

Calcutta High Court: সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এর আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। বিশেষ করে যেখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, কোনও শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে, সেখানে এতদিনেও কেন সিআইডি শনাক্ত করতে পারল না কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে? তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল আদালত।

Darivit School Firing: দাড়িভিট স্কুলে গুলিকাণ্ডে NIA, হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের
কলকাতা হাইকোর্ট

| Edited By: Soumya Saha

May 10, 2023 | 12:16 PM

কলকাতা: ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে উঠেছিল দাড়িভিট স্কুল (Darivit School)। স্কুলে অঙ্ক ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের বদলে কেন সংস্কৃত ও উর্দুর শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ-আন্দোলন। সেই আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ (Firing in Darivit School) হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলার শুনানির পর এবার দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে বিতর্কে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দিন দাড়িভিটের ঘটনায় বোমাও ফেটেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এতদিন ধরে এই ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি। কিন্তু সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এর আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। বিশেষ করে যেখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, কোনও শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে, সেখানে এতদিনেও কেন সিআইডি শনাক্ত করতে পারল না কোন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে? তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল আদালত। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় এবার সিআইডির ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও। গোটা ঘটনাক্রম থেকে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। কমিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে আদালতের মন্তব্য, ‘দূর থেকে গোটা ঘটনাক্রম দেখছে। তারা জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে এতটাই ভরসা করে যে তাঁদের থেকে রিপোর্ট চেয়েই দায়িত্ব সেড়েছে। এটাই তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার জন্য যথেষ্ট। ২০২০ সালে না হয় কমিশনের সদস্য ছিল না। কিন্তু ২০১৮ থেকে দু বছর কি করেছে রাজ্য কমিশন? সেই তুলনায় জাতীয় কমিশন সেখানে লোক পাঠিয়ে পরে সেটি থেকে একটা রিপোর্ট তৈরি করেছে। তাদের সেই রিপোর্ট নিয়ে যতই বিতর্ক হোক। তবু তারা সেটা করেছে। প্রশ্ন ওঠে রাজ্য কমিশন কী করছিল?’