Calcutta High Court: SSC আইনের ১৭ নং ধারাকে চ্যালঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে, এই আইনের জোরেই বাতিল হয়েছিল সুপারিশ

SSC Act: স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলায় ওই ১৭ নম্বর ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়েছে।

Calcutta High Court: SSC আইনের ১৭ নং ধারাকে চ্যালঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে, এই আইনের জোরেই বাতিল হয়েছিল সুপারিশ
কলকাতা হাইকোর্ট

| Edited By: Soumya Saha

Mar 17, 2023 | 1:52 PM

কলকাতা: নবম – দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনকে (SSC Act) চ্যালেঞ্জ করে মামলা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) আইনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলায় ওই ১৭ নম্বর ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এই আইনের জোরেই ৬১৮ জন কর্মরত শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মামলায় রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদ সহ সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩ এপ্রিল।

উল্লেখ্য, হাসান-উর-জামান সহ একাধিক ব্যক্তি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন হাইকোর্টে। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সব পক্ষকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এসএসসি আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের। আবেদনকারীর দিক থেকে বা কমিশনের দ্বারা সুপারিশ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তাহলে যে কোনও সময় সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন। এসএসসি আইনের ১৭ নম্বর ধারায় এই ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। এর আগে বেশ কিছু মামলার শুনানি চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্প্রতি নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, ‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।’