
কলকাতা: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। ভর্তি প্রক্রিয়ায় আপাতত হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ওবিসি সংক্রান্ত আবেদনপত্রে ক্যাটেগরি উল্লেখ করা যাবে না। রাজ্যকে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও রাজ্যের কলেজগুলিতে ভর্তির অনলাইন পোর্টালে ওবিসি এ এবং ওবিসি বি ক্যাটেগরির উল্লেখ আছে। এই অভিযোগে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। আবেদনকারীরা এদিন আদালতে বলেন, গত ১৭ জুন হাইকোর্ট পাঁচটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু, ভর্তির পোর্টালে ওবিসি ক্যাটেগরি এ ও ক্যাটেগরি বি অনুযায়ী আবেদন নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ওবিসি সংক্রান্ত মামলা এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তাই ভর্তি প্রক্রিয়ায় আপাতত কোনও হস্তক্ষেপ নয়। তবে কোনও ক্যাটেগরি ধরে আবেদন এখন নেওয়া হবে না। যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের আবেদন করতে দিন।
রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, আদালত এটা আশা করে যে ওবিসি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, রাজ্য সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। ভর্তি হোক বা নিয়োগ, রাজ্য সমস্ত ক্ষেত্রেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানবে এটাই প্রত্যাশিত।
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে। তাছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত যে পোর্টাল প্রথমে খোলা হয়েছিল, আদালতের নির্দেশের পরে তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখনই ওবিসি-এ, ওবিসি-বি শ্রেণিবিন্যাসকে তারা বিবেচনার মধ্যে আনছে না। এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিজের পর্যবেক্ষণে জানান, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যারা ওবিসি তালিকাভুক্ত ছিল, তাদের আবেদনও গ্রহণ করা হবে বলে আদালত আশা করছে। ৪ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। ৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।