
কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মেডিক্যাল রিপোর্ট বিস্মিত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির প্রশ্ন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্ট এবং কল্যাণী এইমসের রিপোর্ট আলাদা আলাদা হয় কী করে?
রাজ্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “দুই চিকিৎসকের কি আলাদা আলাদা চোখ? একজন ঘর্ষণজনিত ক্ষত এবং ফোলাভাব দেখতে পাচ্ছেন, আরেক জন পাচ্ছেন না।” রাজ্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এটা কীভাবে সম্ভব?
রাজ্যের কাছে বিচারপতি জানতে চান, দুই চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করেছেন? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের বয়ান নেওয়া হয়েছে, কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকের বয়ান এখনও নেওয়া হয়নি।
চলতি বছরের মার্চ মাসে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে এক যুবতীকে হুগলি থেকে নিয়ে আসা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। তারপর নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিন যুবক ওই যুবতীকে লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই তিন যুবক বন্ধু। পরিকল্পনা করেই এই গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে।