
কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। বিক্ষোভে নেমেছিলেন চিকিৎসকরা। শুধু বিক্ষোভ নয়, অনশনও করেছেন তাঁরা। সেই চিকিৎসকদেরই একাধিক মুখ যেমন দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়াদের বদলি নিয়ে উঠছে বড় অভিযোগ। এই ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ তিন ডাক্তার। আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবীর। ১২ই জুন বৃহস্পতিবার আদালতে এই মামলার শুনানি।
এখানে উল্লেখ্য, সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন দেবাশিস হালদার। নিয়ম অনুযায়ী একটি গ্রামীণ অঞ্চলে পোস্টিং হওয়ার কথা তাঁর। সেই অনুযায়ী কাউন্সেলিং হয়। কাউন্সেলিং-এ হাওড়ায় পোস্টিং হয় তাঁর। কিন্তু মেরিট লিস্ট বেরতেই দেখা যায়, তাঁর নামের পাশে মালদহের গাজোলের হাসপাতালের নাম। অভিযোগ, ৭৭৮ জনের মধ্যে শুধুমাত্র দেবাশিসের পোস্টিংই এভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে। আরও দেখা গিয়েছে যে গাজোলের ওই হাসপাতালে কোনও শূন্যপদই ছিল না।
অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়ার সঙ্গেও একই ঘটনা। পিজিটি থেকে সিনিয়র রেসিডেন্ট হওয়ার কথা তাঁদের। ৮৭১ জনের মধ্যে শুধুমাত্র তাঁদের পোস্টিং বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই অভিযোগেই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ তাঁরা।