
কলকাতা: রামনবমীর পর এবার হনুমান জয়ন্তী। মিছিল, অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ উদ্যোক্তারা। অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে তিনটি মামলা দায়ের। শর্তসাপেক্ষে মিছিল, অনুষ্ঠানের অনুমতি দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। শোভাযাত্রায় ধাতুর অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না বলে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন।
কয়েকদিন আগে রামনবমীতে মিছিলের অনুমতি চেয়ে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল হাইকোর্টে। এবার হনুমান জয়ন্তীতেও আবেদন জানানো হয়। গতকাল তিনটি মামলারই শুনানি হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। প্রথম মামলায় ১২ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে অনুমতি দেন বিচারপতি। কলেজ স্ট্রিট হনুমান মন্দির থেকে হরি ঘোষ হনুমান মন্দির পর্যন্ত ওই মিছিল হবে। হনুমান জন্মোৎসব উদযাপন সমিতি মিছিলে অনুমোদন দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। বিচারপতি নির্দেশ দেন, ওইদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা করা যাবে। তবে ডিজে ব্যবহার করা যাবে না। ধাতুর অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না। পিভিসি দিয়ে তৈরি প্রতীকী অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে। ৫টা মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যাবে। ৪টা করে বাইক এবং গাড়ি ব্যবহার করা যাবে বলে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন। ২০০ থেকে ২৫০ জন ব্যক্তি থাকতে পারবেন ওই শোভাযাত্রায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই শোভাযাত্রায় থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় বাঁশদ্রোণীর সতীন্দ্রপল্লিতে হনুমান মন্দিরে পুজোর কর্মসূচিতে অনুমতি দিল হাইকোর্ট। হনুমান জয়ন্তী উদযাপন সমিতি এই আবেদন জানিয়েছিল। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, পুরসভার অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি করতে হবে। আগামিকাল (১২ এপ্রিল) হনুমান জয়ন্তীর পুজো হবে। রাত ১০টার মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে বলে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন।
তৃতীয় মামলায় বাঁশদ্রোণী এলাকার শিশুভারতী মাঠের কাছে হনুমান জয়ন্তীর কর্মসূচিতে অনুমতি দিল হাইকোর্ট। রামদূত সংঘের এই আবেদনে অনুমতি দিলেও বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, পুরসভার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে।
শুক্রবার থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠান হবে এখানে।