কলকাতা: প্রবল গরম। তাই কড়া নির্দেশের পরও মানবিকতার মুখ আদালতের। বেআইনি নির্মাণ আটকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আদালত। তবে তার মধ্যেও প্রবল দাবদাহে মানবিকতা দেখাল হাইকোর্ট। আগে হাইকোর্টের নির্দেশে বিধাননগরের যে বহুতল থেকে বিদ্যুৎ ও জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল, এদিন আবেদনের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে সেখানে বিদ্যুতের লাইন জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বৃহস্পতিবার এই শুনানি ছিল।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিনের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বলেন, ‘যতদিন এই বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে, ততদিন আপনারা বিকল্প জায়গা দেখবেন না। কিন্তু এটা বলে দিচ্ছি, ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হবেই। এই প্রবল গরমে যাঁরা এখনও রয়েছেন, তাঁদের কষ্ট বুঝতে পারছি। তাই সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলাম। কিন্তু আবারও বলছি, এই বিল্ডিং ভাঙা হবেই। তাই এখনই অন্যত্র সরে যান।’
বিধাননগরের একটি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। কারা এই আবাসন তৈরি করলেন, প্রথম শুনানিতেই তা জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো দরকার বলেও জানান তিনি।
পাঁচতলা ওই আবাসন তৈরির জন্য বিধাননগর পুরনিগমের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না তাও জানতে চান বিচারপতি। জবাবে আইনজীবী বলেন, আবাসন বানানোর আগে অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে পরে অনুমতি নেওয়া হয় বলে জানান। বিচারপতি সিনহা এপ্রিলের ৩ তারিখই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে বিধাননগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক বেআইনি আবাসনে জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তা খালি করার নির্দেশও দেন।