
হাওড়া: আইনজীবীদের উপর লাঠিপেটার অভিযোগ। ২০১৯ সালের ঘটনায় সাত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ জুন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হাওড়া কোর্টে বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে ধুন্দমার হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আদালত সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। সেই মামলার শুনানি ছিল এদিন। আজ কোর্ট বলে, পুলিশ আধিকারিক ভাবনা গুপ্তা, বিশাল গর্গ, ভি এস আর অনন্ত নাগ, গোলাম সারোয়ার, অভিজিৎ ব্যনার্জি, বিপিন তামাং, রাজর্ষী দত্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত। ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে আদালতকে।
আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, “২০১৯ সালে বাইক রাখা ও অটো থেকে আইনজীবীর নামাকে কেন্দ্র করে হাওড়া পুরসভার কিছু কর্মীদের সঙ্গে একটা বচসা হয়। সেই বচসা মারামারি জায়গায় চলে যায়। সেই সময় হাওড়া কোর্টের উকিল ও হাওড়া পুরসভার উকিলদের ঝামেলা হয়। সেটা মিটেও যাচ্ছিল। তবে একজন রাজনীতিবিদ মধ্যস্থতা করেন। হাওড়া কোর্টরে উকিলদের বলা হয় তোমরা হাওড়া পুরসভায় গিয়ে মেটাও। তখনই প্রতিবাদ করেন হাওড়া কোর্টের উকিলরা মানেননি। তাদের দাবি, পুরসভার আইনজীবীদের এসে মেটাতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। এতেই ওই রাজনীতিবিদ বলেন, তোমরা যা খুশি করো। আমিও দেখছি কী করা যায়। তারপর থেকেই হাওড়া কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীদের মারধর করা হয়। চেম্বার তছনছ করে। মহিলা উকিলকে পুরসভার ভিতরে ঢুকিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করা হয়। এরপর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এই মামলা গ্রহণ করেন। এরপর বিচারপতি সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তাঁরা নিযুক্ত করেন কমিশনার হিসাবে বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তকে। উনি ছ’মাসের মধ্যে কমিশন করেন। এবং জানান এই সকল পুলিশ অফিসাররা খুবই অন্যায় করেছে। এমনকী হাওড়া কোর্টের ভিতর টিয়ার গ্যাস চালানো হয়। সেই খোল পড়েছিল জেলা জজের ঘরে।এরপর এই মামলা স্থগিত হয় করোনার জন্য। তারপর বেঞ্চ চেঞ্জ হয়ে হয়ে আজ শুনানি।”