কলকাতা: লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত কতদূর এগোল, মুখবন্ধ খামে তা আদালতকে জানাল সিআইডির সিট। সিবিআই হেফাজতে মারা যান বগটুইয়ের লালন শেখ। সেই মৃত্যুর তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে সোমবার জমা দেয় সিট। একইসঙ্গে তদন্তের জন্য আরও এক মাস সময় চায় তারা। এর আগে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ডিআইজি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই তদন্তে বেশ কিছু ত্রুটি থাকায় হাইকোর্ট সিট গঠন করে। আগামী ১ ডিসেম্বর তদন্তে অগ্রগতির পরবর্তী রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিটকে। এই সময়ের মধ্যে সিবিআই অফিসারদের তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানায় সিআইডি। আদালতের বক্তব্য, সিবিআইয়ের অসহযোগিতার অভিযোগ রিপোর্টে নেই।
বীরভূমের বগটুইয়ে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটে, তার অন্যতম মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। ঘটনার ৯ মাস পর ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই গ্রেফতারির ৯ দিনের মাথায় রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালনের। এরপরই নিহতের পরিবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। লালন-মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করে লালন শেখের স্ত্রী।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তোলেন লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় রাজ্যপুলিশের সিআইডি। লালনের মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগে হয়েছে, প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ থাকলেও পরিবারের দাবি, তাঁর পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। জিভও কাটা ছিল। সেই মৃত্যুরহস্যের তদন্ত চলছে। সিট তার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আদালতে জমা করেছে।