Suvendu Adhikari: নেতাই যেতে চান শুভেন্দু, আদালতে গেলেন ‘অনুমতি’ নিতে
Netai: ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। লালগড়ের নেতাই গ্রামে রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ৯ জন মারা যান। ২৮ জন আহত হন। ভয়ঙ্কর সেই দিনকে স্মরণ করে তৃণমূল প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবস পালন করে।
কলকাতা: ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসে নেতাই যেতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। ২০২২ সালের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে আগে থেকেই এবার আইনি পথে হাঁটছেন শুভেন্দু। ৭ তারিখ নেতাই দিবস। সেদিন লালগড়ের এই গ্রামে স্মরণসভায় অংশ নিতে চান তিনি। তবে কোনওভাবেই যাতে ২০২২-এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় মঙ্গলবার সেই আবেদন নিয়েই গেলেন আদালতে। কোর্ট থেকে অনুমতি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশের আবেজন জানান বিরোধী দলনেতা। ৪ জানুয়ারি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ৪ জন মহিলা-সহ মোট ৯ জন মারা যান। ২৮ জন আহত হন। ভয়ঙ্কর সেই দিনকে স্মরণ করে তৃণমূল প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবস পালন করে।
এক সময় পশ্চিম মেদিনীপুরে থাকলেও জেলা ভাগের পর এখন লালগড় ঝাড়গ্রামের মধ্যে পড়ে। যতদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন, প্রতি বছর ৭ তারিখ তিনি নেতাই যেতেন। কিন্তু ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে তাঁকে নেতাই যেতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেন। ২০২২ সালে ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিশি ব্য়ারিকেডে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরতে হয়েছিল শুভেন্দুকে। তবে এবার তিনি নেতাই যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সে কারণেই আদালতে গেলেন আগেভাগে।