
কলকাতা: সুপার নিউমেরারি পোস্টে নিয়োগ পেতেও টাকা দেওয়া হয়। নিয়োগ পেতে টাকার লেনদেনও হয়। সুপার নিউমেরারি মামলায় আদালতে জানাল সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলা ওঠে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, শারীরশিক্ষা এবং কর্ম শিক্ষায় কত জন টাকা দিয়েছেন, সেটা তদন্তে পৃথকীকরণ সম্ভব নয়>
তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে পৃথকীকরণ সম্ভব নয়, কারণ FIR করতে আদালতের অনুমতি লাগবে। একইসঙ্গে রাজ্য এখনও অনুমোদন দেয়নি, ফলে সেক্ষেত্রেও সমস্যা থাকছে। সুপার নিউমেরারি মামলায় তদন্ত চললেও এই ধরণের মামলা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই আদালতের অনুমতির প্রয়োজন, আদালতে জানালেন সিবিআই আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী। ফের আগামী ৪ জুলাই মামলা।
এর আগে উচ্চ প্রাথমিকে সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের মামলায় নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করে না কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায়ই বহাল রাখল।
এদিকে, আবার এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টেও বিচারাধীন। শীর্ষ আদালত ক্যাবিনেটের ওপর সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়।
উল্লেখ্য, শিক্ষক–শিক্ষাকর্মী পদে ২০১৬–র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরে আচমকাই স্কুলের চাকরিতে কিছু বাড়তি পদ অর্থাৎ সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। প্রায় ৬ হাজার অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে এসএসসিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। যার উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দিয়েছিল এই মামলায় সিবিআই যদি মনে করে, তাহলে রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সেই নির্দেশের উপরও স্থগিতাদেশ রয়েছে।