Calcutta High Court: মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গৃহবধূর মৃত্যুর সাড়ে ৩ মাস পর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ

Calcutta High Court: ফতেমার বিয়ে হয়েছিল ২০২৪ সালের এপ্রিলে। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, বিয়ের সময় পণ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তারপরও আরও পণের জন্য ফতেমার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। পণ দিতে না পারাতেই ফতেমাকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Calcutta High Court: মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গৃহবধূর মৃত্যুর সাড়ে ৩ মাস পর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 22, 2025 | 9:21 AM

কলকাতা: সাড়ে তিন মাস আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল গৃহবধূর। খুনের অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলেন। আগামী ২৫ অগস্টের মধ্যে কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

মৃত গৃহবধূর নাম ফতেমা খাতুন। হাইকোর্টে আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী নবকুমার দাস ও সুমঙ্গল শীল জানান, গত ২৯ এপ্রিল রাতে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে বছর কুড়ির ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের মায়ের বক্তব্য, ওইদিন রাতে ফতেমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে ফোন করে বলা হয়, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু, ফতেমার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

ফতেমার বিয়ে হয়েছিল ২০২৪ সালের এপ্রিলে। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, বিয়ের সময় পণ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, তারপরও আরও পণের জন্য ফতেমার উপর চাপ সৃষ্টি করছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। পণ দিতে না পারাতেই ফতেমাকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ফতেমার পরিবার। সেজন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, আগামী ২৫ অগস্টের মধ্যে কল্যাণী এইমসে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সংগঠিত করতে হবে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই ময়নাতদন্ত করবেন। ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানিতে আদালতে রিপোর্ট দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।