
কলকাতা: ২০১০ সালের পরবর্তী রাজ্যের দেওয়া সব ওবিসি (OBC) সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরও কীভাবে কলকাতা পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে? এই প্রশ্নই তুলেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার আদালত পূর্বের দেওয়া কলকাতা পুরসভার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে ২০১০ সালের আগের ওবিসি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। এ দিন, আদালতের নির্দেশে ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, “কোনও নিয়োগ, কোনও ভর্তি অযথা বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই।” এরপর পুরসভার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি কৌশিক চন্দ স্পষ্ট জানান, “ডিভিশন বেঞ্চ তার নির্দেশে স্পষ্ট করে বলেছে যে, ৬৬ টি সম্প্রদায়কে নিয়ে এবং ৭ শতাংশ সংরক্ষণ নীতি মেনে কাজ করার কথা।” এরপরই তাঁর নির্দেশ, আজই পুরসভার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ওবিসি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে ৬৬ টি সম্প্রদায়কে নিয়ে শুরু করতে হবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। পুরসভার কমিশনারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছে, শূন্যপদে নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আজই রাজ্যের কাছে আবেদন জানাবে কলকাতা পুরসভা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেবে রাজ্য। তারপর বাকি নিয়ম মেনে চলবে নিয়োগ। ৭৮ টি শূন্যপদেই হবে এই নিয়োগ।”
মামলার ব্যকগ্রাউন্ড
সম্প্রতি, কলকাতা পুরসভায় সাব অ্যাসিসসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলকাতা পুরসভার মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট ৭৮টি শূন্যপদের মধ্যে OBC (A)-এর জন্য ৮টি ও OBC(B)-এর জন্য পাঁচটি সংরক্ষিত পদ রয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই পর্যবেক্ষণে কোর্ট জানতে চায়, ২০১০ সালের পর সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল কোর্ট। তারপরও কীভাবে সংরক্ষণের কথা জানিয়ে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল? মামলাকারীদের দাবি ছিল, ওবিসি নিয়ে হাইকোর্টের রায় অমান্য করা হচ্ছে। এই মামলারই শুনানি ছিল আজ।